যতই চেষ্টা করুন, শীতে জল খানিক কমই খাওয়া হয়। অন্য সময়ে যিনি দুই থেকে আড়াই লিটার জল খেয়ে নেন, তাঁর জল খাওয়ার মাত্রা শীতে লিটার খানেক কমে যেতে পারে। আবহাওয়ার কারণেই। অথচ শীতকাল হল শুষ্কতার সময়। বাতাসে আর্দ্রতা কম যেমন থাকে, তেমনই শরীরের ভিতরেও শুষ্কতা দেখা যায়। যে কারণে নানা ধরনের রোগ বাসা বাধে শরীরে। কারণ শরীর ভিতর থেকে আর্দ্র না থাকলে শরীরবৃত্তীয় নানা ক্রিয়াকলাপেও অসুবিধা সৃষ্টি হয়। তবে জল খাওয়ার ওই সমস্যার সরাসরি সমাধান করতে না পারলে নিয়মিত খাবারের তালিকায় এমন কিছু খাবার রাখা যেতে পারে, যা শরীরকে যথাসময়ে তরলের জোগান দেবে।
রসালো ফল
শীতকাল নানা ধরনের সাইট্রাস জাতীয় রসালো ফলের মরসুম। যাতে জলের ভাগ যেমন বেশি থাকে তেমনই প্রচুর ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিড্যান্টও থাকে। কমলালেবু, আনারস, আপেল, কিউই, বেদানা, মুসাম্বি-সহ নানা ধরনের ফল একটি করে নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে।
জলের ভাগ বেশি থাকা সব্জি
শীতের বিভিন্ন শাকসব্জিতেও জলীয় ভাগ বেশি থাকে। যা শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের শাক, যেমন— পালং শাক, মেথি শাক ইত্যাদিতে ৯০ শতাংশেরও বেশি জল থাকতে পারে, যা ত্বককে সতেজ রাখে। শীতের কড়াইশুঁটি, টম্যাটোতেও জলের ভাগ থাকে বেশি। এ ছাড়া ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকোলিতেও ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ জল থেকে। আবার এগুলি ভিটামিন সি-এর ভাল উৎস।
স্যুপ, ডাল
শীতকালে উষ্ণ পানীয় হিসেবে স্যুপ খুবই উপকারী। এতে যেমন শরীর উষ্ণ থাকে তেমনি শরীরে প্রয়োজনীয় জলেরও জোগান পৌঁছোয়। সব্জি দিয়ে বা মাংস সেদ্ধ করা জল দিয়ে স্যুপ বানানো যেতে পারে অথবা পাতলা ডালের স্যুপও বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
বাদাম ও বীজ
বাদাম এবং বীজে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই দুই উপাদানই শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং শুষ্ক ভাব কমাতে সাহায্য করে। কাঠবাদাম, আখরোট, চিয়া বীজের মতো খাবার শীতে নিয়িমত ভাবে পরিমাণ মেপে খেতে পারেন।
দই এবং দুগ্ধজাত খাবার
টক দইয়ে প্রচুর জল থাকে। আবার এটি প্রোবায়োটিক হিসাবেও কাজ করে। শীতে দই খেলে তা শরীরকে আর্দ্রতা জোগানোর পাশাপাশি হজম ক্ষমতা ভাল রাখতেও সাহায্য করে।