অঙ্কের হিসাবে বয়স কমানো সম্ভব নয়। শরীরের বয়সকেও বেঁধে রাখা যায় না। কিন্তু চাইলে বয়স বৃদ্ধির গতি শ্লথ করা যেতে পারে। আর তার জন্য সবার আগে জরুরি স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া করা।
সুস্থ থাকার জন্য যে জীবনযাত্রায় বদল আনার কথা প্রায়শই বলা হয়, তার প্রথম ধাপই হল এই খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসে বদলানো। কিন্তু খাবার বদলে কি সত্যিই বয়সকে আটকে রাখা যায়। সমাজমাধ্যমে জনপ্রিয় এক পুষ্টিবিদ রিমা কৌর বলছেন, ‘‘আমাদের শরীরে বয়স বৃদ্ধির ছাপ পড়ে মূলত ত্বকে, চুলে। তবে ভিতরে ভিতরে জরুরি প্রত্যঙ্গগুলিও দুর্বল হতে শুরু করে। তাই এমন কিছু যদি খাওয়া যায়, যা লিভার, কিডনি, হার্টের মতো প্রত্যঙ্গগুলিকে ভাল রাখবে, তবে তার ছাপ শরীরেও পড়তে বাধ্য। ’’
রিমা জানাচ্ছেন, দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় খুব সাধারণ কয়েকটি খাবার রাখলে তা শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের জোগান দিয়ে এক দিকে যেমন শরীরকে দূষণ মুক্ত রাখে তেমনই সুস্থ থাকতেও সাহায্য করে। আর তেমন খাবার যে খুব অচেনা, তা-ও নয়। রিমা বলছেন খুব চেনা পাঁচ খাবারই হয়ে উঠতে পারে ‘সুপারফুড’।
১। ওটস
এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা-গ্লুকান যা ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে, আর্দ্রতা বজায় রাখতে পারে এবং কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করতে পারে । এর পাশাপাশি শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য এর প্রদাহ কমানোর গুণ এবং ফাইবার থাকায় অন্ত্র ভাল রাখার ক্ষমতাও ভাল।
২। দই
ল্যাকটিক অ্যাসিড বার্ধক্য রোধে সাহায্য করতে পারে। এটি ত্বককে মৃতকোষমুক্ত করে উজ্জ্বল রাখে। এর প্রোবায়োটিক উপাদান অন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়। যার প্রভাব পড়ে লিভার এবং হার্টের মতো প্রত্যঙ্গে।
৩। কাবলি ছোলা
এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ থাকে যা ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও উপযোগী।
৪। ডাল
ভিটামিন বি, আয়রন, ফাইবার, প্রোটিন-সহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের ভালো উৎস ডাল। এতে থাকে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও। যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। শরীরকেও ফ্রি র্যাডিক্যালসের হাত থেকে মুক্ত করে। ফলে বয়সজনিত রোগ কমে। তার প্রভাব পড়ে ত্বক এবং চুলেও।
৫। চিয়া বীজ
চিয়া বীজ যে সুপারফুড তা সবার জানা। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখার পাশাপাশি এটি ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও উপকারী। পাশাপাশি এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট লিভার, কিডনিকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। এটি কোলাজেন উৎপাদনেও সহায়ক। যা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য জরুরি।