অম্বল-গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে বলে সহজপাচ্য খাবার খাচ্ছেন। খাওয়ার পর জোর কদমে হাঁটছেনও। গরম পানীয়ে চুমুক দিচ্ছেন। শরীর ভাল রাখতে যা যা করছেন তাতে আদৌ স্বাস্থ্যের কোনও ভাল হচ্ছে কি?
হাঁটাহাঁটি: খাওয়ার পরে হাঁটতে বেরোচ্ছেন। মিনিট ১৫ বেশ জোরে জোরে যখন হেঁটে ফিরলেন, তখন দেখা গেলে শরীর আনচান করছে।চিকিৎসকেরা বলেন, খাওয়ার পরে হাঁটা ভাল। এতে হজম হয়। ভরপেট খেয়ে কিছু ক্ষণ ঘরের মধ্যে বা বারান্দায় পায়াচারি করা যেতে পারে। তার বদলে জোরে জোরে হাঁটা শুরু করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।এতে খাবার পরিপাকে সমস্যা হতে পারে।
শরীরচর্চা: দুপুরে ভরপেট খেয়ে ঘণ্টা দেড়েক বাদেই জিমে যাচ্ছেন বা যোগব্যায়ামের ক্লাস করছেন। এতেই ক্ষতি হয় শরীরের। এমনকি বমিও হয়ে যেতে পারে। পেট ভরা থাকলে ব্যায়াম করা অনুচিত, বলেন প্রশিক্ষকেরাই। ভরপেট খাওয়ার পরে অন্তত ৪-৫ ঘণ্টা পরে শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
পানীয়: অনেকেরই ধারণা খাওয়ার পরে গরম কিছু খেলে হজম ভাল হয়। সে কারণেই কালো কফি বা গ্রিন টি-এ চুমুক দিচ্ছেন? এতে থাকা ট্যানিন আয়রন শোষণে বাধা দেয়। তা ছাড়া, চা-কফি খেলে অম্বলও হতে পারে। বরং খাওয়ার ১০-১৫ মিনিট পরে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল খাওয়া যেতে পারে।
বেশি জল: অনেকেই খাওয়ার পরে কয়েক গ্লাস জল খান। ধারণা, এতে নাকি বদ হজম কমবে। বরং খাওয়ার পরে তো নয়ই, দিনের কোনও সময়েই একসঙ্গে ২-৩ গ্লাস জল খাওয়া সমর্থন করেন না চিকিৎসকেরা। চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলছেন, দিনভরই জল খাওয়া দরকার, তবে একবারে এক গ্লাস বা খুব তেষ্টা পেলে দেড় গ্লাস খাওয়া যেতে পারে।
ঘুম: ভাত বা ভরপেট খেলেই মনে হয় বিছানায় গা এলিয়ে দেওয়া দরকার। এই ভাতঘুম যেমন বদহজমের কারণ, তেমনই ভুঁড়ি বাড়তে পারে এমন অভ্যাসে। খাওয়ার পরে মিনিট দশেক বসে, তার পর মিনিট দশেক পায়াচারি করে অন্তত আধ ঘণ্টা পরে শোয়া যেতে পারে।