শীত মানেই চারপাশে নানা ধরনের খাবারের সম্ভার। নতুন গুড়ের সন্দেশ থেকে শুরু করে কেক, কুকিজ়ের ছড়াছড়ি চারপাশে। তার প্রলোভন এড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাই কষ্টকর। এ কথা ঠিকই খাওয়াদাওয়ায় রাশ না টেনে রোগা হওয়ার ভাবনা অলীক। তা বলে শীতে কি নতুন গুড়ের মিষ্টি খাবেন না। নাকি ক্রিসমাস কেক থেকে মুখ ফেরাবেন? কোনওটিই নয়। খাওয়া দাওয়া মেপে হোক অল্পসল্প। পাশাপাশি চলতে থাকুক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যবস্থাও। চেনা কিছু পানীয় এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে—
১. হলুদ দুধ
হলুদে থাকা কারকিউমিন প্রদাহনাশক। বিপাকের হার বৃদ্ধিও করতে পারে। হজমে সাহায্য করে তো বটেই। পেশি মেরামতেও সাহায্য করে। রাতে ঘুমনোর আগে নিয়ম করে দুধে হলুদ আর গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
২. আদা চা
আদায় রয়েছে থার্মোজেনিক উপাদান। যা শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে ফলে অতিরিক্ত চর্বি গলানোর যে স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া, তা জারি থাকে। হজমে সাহায্য করে। খিদে কমাতেও সাহায্য করে।
৩. জিরের জল
জিরে হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে এবং ফোলাভাব কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। এটি মেটাবলিজমের গতি বাড়িয়ে ফ্যাট বার্নিংয়ে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে পান করা সবচেয়ে ভালো।
৪. দারচিনি চা
দারচিনি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, ক্ষুধা দমন করতে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। এক টুকরো দারুচিনি গরম জলে ফুটিয়ে এই পানীয় তৈরি করা যেতে পারে।
৫. আমলকির রস
আমলা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা মেটাবলিজমকে উন্নত করতে এবং হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়াকে দ্রুত করতে পারে।