রাতের খাবার হিসাবে কী খাচ্ছেন, তা আপনার হজমের স্বাস্থ্যের উপর অনেকটাই প্রভাব ফেলে। কারণ রাতের খাবার খাওয়ার পরে হাঁটা চলা হয় নাম মাত্র। খাবার খাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিশ্রামে যায় শরীর। ফলে খাবার হজম করার সময় এবং সুযোগ— দুই-ই মেলে কম। তাই রাতের খাওয়াদাওয়ায় গোলমাল হলে তা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যাও তৈরি করতে পারে। হতে পারে নাছোড় গ্যাস-অম্বলের সমস্যা। তাই রাতে কী খাচ্ছেন, সে বিষয়ে সব সময়ে সতর্ক হওয়া দরকার।
রাতে কোন কোন খাবার খাবেন না?
১। অতিরিক্ত ভাজাভুজি
ডুবো তেলে ভাজা মুরগির মাংস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ় বা অন্য কোনও ডুবো তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। কারণ তাতে ফ্যাটের মাত্রা থাকে বেশি। এই ধরনের খাবার থেকে বুকজ্বালা, বদ হজমের মতো সমস্যা হতে পারে।
২। রগরগে মশলাদার খাবার
বাড়ির তেলে রান্না করা খাবার হলে ঠিক আছে। কিন্তু অতিরিক্ত তেল মশলা দেওয়া খাবার না খাওয়াই ভাল।
৩। কফি আছে এমন পানীয়
কফি দিয়ে তৈরি খাবারে থাকে ক্যাফিন। যা পাকস্থলীতে অ্যাসিড উৎপাদনে উৎসেচকের কাজ করে। এই ধরনের খাবার শরীরকে ডিহাইড্রেটেড করে দেয়। রাতে বার বার প্রস্রাব হওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে। যা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
৪। দুগ্ধজাত পন্য
যেকোনও দুগ্ধজাত খাবার থেকে পেটফাঁপা, গ্যাস, পেটেব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে। একান্তই যদি খেতে হয় তবে লো ফ্যাট দুধ খাওয়া উচিত।
৫। সহজপাচ্য নয় এমন রেডমিট
রেড মিটে প্রোটিনের সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাটও থাকে বেশি, যা হজম করা কঠিন। তাই রাতে পাঁঠার মাংস বা অন্যান্য রেড মিট এড়িয়ে চলাই ভাল। বদলে মুরগির মাংস বা মাছ খাওয়া যেতে পারে।
৬। প্রক্রিয়াজাত ময়দা বা চিনি
ময়দা বা চিনি দিয়ে তৈরি খাবার, যেমন পাস্তা, ময়দার লুচি, পরোটা, পুরি, পাউরুটি ইত্যাদি না খেলেই ভাল। কারণ এগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা সার্বিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
৭। টক ফল
লেবু জাতীয় টক ফল রাতে খেলে তা হজমের সমস্যা হতে পারে। ভিটামিন সি জাতীয় ফল সব সময় সকালের দিকেই খাওয়া ভাল।