সুস্থ খাদ্যাভ্যাস নিয়ে অত্যন্ত সচেতন আপনি, পরিমাপ বুঝে খাচ্ছেন। সমস্ত পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি মেটাচ্ছেন। খাওয়ার গতি কমিয়েছেন। বাইরের নয়, ঘরে বানানো স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করছেন। সমস্ত সুস্থ অভ্যাস মেনে চলার প্রয়াস চলছে আপনার। কিন্তু তার পরও সেরা ফল মিলছে না। চেন্নাইয়ের ফিটনেস প্রশিক্ষক রাজ গণপত তাঁর ইনস্টাগ্রামের পাতায় লিখছেন, ‘‘সম্ভবত একটি মাত্র জিনিস আপনার চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে। সুস্বাস্থ্য বজায় ও ওজন হ্রাসের জন্য খুবই কার্যকরী সেটি। খুবই সহজ, অথচ ৯৫ শতাংশ মানুষ ভুলে যান। সেটি হল, ফাইবার।’’
খাবারে কতখানি ফাইবার রাখা উচিত? ছবি: সংগৃহীত।
ফিটনেস প্রশিক্ষকের মতে, ফাইবারের ঘাটতি মেটানোর দিকে নজর থাকে না অনেকেরই। প্রতি দিন ২৫ থেকে ৪০ গ্রাম ফাইবার খাওয়া উচিত প্রত্যেকের। কারণ ফাইবার এক দিকে যেমন হজমক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে, অন্য দিকে রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবিটিস ও হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়। অন্ত্রের উপকারী ব্যাক্টেরিয়াকে পুষ্টির জোগান দেওয়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যও কার্যকরী ফাইবার। অথচ অনেকেই পরিমাণ মতো ফাইবার রাখেন না ডায়েটে। রাজের দাবি, ন্যূনতম ২৫ গ্রাম ফাইবার প্রয়োজন সকলের। সেটুকু ঘাটতিও মেটে না অধিকাংশ ক্ষেত্রে। ৪০ গ্রাম ফাইবারের ঘাটতি মেটান খুব কম সংখ্যক মানুষ।
কী কী ভাবে ডায়েটে ফাইবারের পরিমাণ বাড়াবেন?
১. খোসাসমেত ফল খেতে হবে বেশি করে।
২. সবুজ শাকসব্জি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে।
৩. গোটাশস্য, যেমন ওট্স, কিনোয়া, বাজরা, ভুট্টা ইত্যাদি খেতে হবে।
৪. বিভিন্ন ধরনের ডাল এবং বীজ রাখতে হবে ডায়েটে।
৫. বাদাম খেতে হবে রোজ।