Advertisement
E-Paper

মাটির ভাঁড় খান? চক, কাগজ চিবোতে ভাল লাগে! ‘অখাদ্য’কেও সুস্বাদু করে তুলতে পারে এক অসুখ

রোগে তথাকথিত সুস্বাদু খাবারের বদলে আকর্ষণ করতে থাকে কিছু ‘অ-খাদ্য’। তবে যাঁদের ওই অসুখ হয়, তাঁদের কাছে সেই সব ‘অ-খাদ্য’ই সময় বিশেষে সুখাদ্য হয়ে ওঠে!

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:০৮

ছবি : সংগৃহীত।

অসুখের নাম পিকা। তবে এ অসুখ যেমন তেমন অসুখ নয়। এ অসুখে খাওয়াদাওয়ার ধরনটাই যায় ঘেঁটে। তথাকথিত সুস্বাদু খাবারের বদলে আকর্ষণ করতে থাকে কিছু ‘অ-খাদ্য’। তবে যাঁদের ওই অসুখ হয়, তাঁদের কাছে সেই সব ‘অ-খাদ্য’ই সময় বিশেষে সুখাদ্য হয়ে ওঠে!

কাদের এ রোগ দেখা যায়?

পিকা হল এক ধরনের ইটিং ডিজ়অর্ডার। দিল্লির চিকিৎসক গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট সেলিম জ়াইদা বলছেন, “ওই রোগ সাধারণত দেখা যায় কমবয়সি ছেলে-মেয়ে, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং অটিজ়ম, স্কিৎজ়োফ্রেনিয়ার রোগীদের ক্ষেত্রে।“

কী কী খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়?

এই ধরনের রোগে ধুলো, মাটি, মাটির ভাঁড়, বরফ, স্টার্চ পাউডার, রঙের স্ট্রিপ, শুকনো রং, রান্না না করা ন্যুডলস, কাগজ, কাপড়, এমনকি, সাবানও খান কেউ কেউ।

কী কী সমস্যা হতে পারে?

যেহেতু কোনওটিই খাবার নয়, তাই তা থেকে নানা রকম শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে।

১। পেটের সমস্যা: কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। অন্ত্রের নানা অংশে ব্লকেজ বা বাধা তৈরি হয়। অন্ত্রের দেওয়ালে ক্ষতিও হতে পারে।

২। বিষক্রিয়া: এই রোগে এমন অনেক খাবারই রোগীরা খেয়ে থাকেন, যা থেকে রাসায়নিক বিক্রিয়া হতে পারে এবং শরীরে বিষক্রিয়াও হতে পারে। চিকিৎসক বলছেন, এই বিষক্রিয়া শিশুদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কেরও ক্ষতি করতে পারে। তৈরি করতে পারে জটিল শারীরিক সমস্যা।

৩। সংক্রমণ: মাটি বা ধুলো খেলে তা থেকে শরীরে ব্যাক্টেরিয়া বা অন্যান্য জীবাণু ঢুকতে পারে। তা থেকে শরীরে হতে পারে সংক্রমণ।

৪। পুষ্টির অভাব: স্বাস্থ্যকর খাবার থেকে শরীর সম্পূর্ণ পুষ্টি গ্রহণ করছে কি না, তা অনেকগুলি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। অনেক সময় শরীরে দূষিত বা বিষাক্ত পদার্থ থাকলে, শরীর খাবার থেকে পুষ্টি সংগ্রহের কাজ যথাযথ ভাবে করতে পারে না।

৫। দাঁতের সমস্যা: চক, ভাঁড়ের মতো জিনিস খেলে তার টুকরো মাড়ির ফাঁকে ঢুকে সংক্রমণ হতে পারে। যা মারাত্মক আকার নিতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক।

চিকিৎসা কী ভাবে?

এই ধরনের সমস্যা দেখলে রোগীকে সতর্ক করাই হল প্রথম ধাপ। তবে তাতে কাজ না হলে মনোবিদের কাছে যেতে হবে। এ ছাড়া রোগীর উপর নজর রাখতে হবে। তাঁর মধ্যে যে ধরনের ‘অ-খাদ্য’ খাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, সেই সব জিনিস হাতের কাছ থেকে সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

PICA Disease Eating Disorder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy