উচ্চতা প্রায় ছ’ফুট, সুঠাম চেহারা, নজরকাড়া ফিটনেস— ৫২ বছরেও অভিনেতা জন অব্রাহমকে দেখে এখনও দুর্বল বহু নারীহৃদয়। কেবল মহিলারাই নন, জনের ফিটনেসের ভক্ত কিন্তু পুরুষেরাও। তরুণ-তরুণীদের কাছে জন এক অনুপ্রেরণা। জনের করা অ্যাকশন দৃশ্যগুলি দেখলে তাঁর বয়সের আঁচ পাওয়া যায় না মোটেও। শারীরিক কসরত ও ডায়েটের কড়াকড়ি— এই দুইয়ের জেরেই কি এখনও জন এতটা ফিট? জনের ফিট থাকার রহস্য ঠিক কী? এই বয়সেও কী ভাবে নিজেকে ফিট রেখেছেন অভিনেতা?
অনেকেই মনে করেন, জিমে গিয়ে ভারী ওজন তুলে, ঘাম ঝরালেই বুঝি জনের মতো চেহারা তৈরি করা যায়। তবে ফিট থাকতে সবার আগে জীবনে চাই অনুশাসন, এমনটাই মনে করেন জন। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জন বলেছেন, তিনি ফিটনেস নিয়ে বরাবরই খুব সচেতন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘‘মাদক কিংবা যে কোনও নেশার থেকে সবার আগে নিজেকে দূরে রাখুন। আমি মদ্যপান করি না। বছরে এক বার কোনও বিশেষ উদ্যাপনে শ্যাম্পেন খাই কিন্তু তা-ও পরিমিত মাত্রায়। মানসিক অনুশাসন কিন্তু ভীষণ জরুরি। আমি রোজ নিয়ম করে জিমে যাই, বিগত ৩৪ বছরে এই নিয়মের কোনও অন্যথা হয়নি। কখনও জ্বর হলে কিংবা মাইগ্রেনের সমস্যা হলেও আমি জিমে যাওয়া বন্ধ করি না। সে সব দিনে খুব বেশি ভারী শরীরচর্চা না করলেও জিমে আমাকে যতেই হবে।’’
ডায়েট আর শরীরচর্চার সঙ্গে কখনওই তিনি কোনও রকম আপস করেন না। তাই ৫২ বছর বয়সেও তাঁর শরীরে অ্যাবসের খাঁজ স্পষ্ট। অভিনেতার মতে, তাঁর শরীরকে তিনি মন্দিরের মতো মনে করেন। সেই মন্দিরের পূজারি তিনিই।
জন মাছ, মাংস ছুঁয়েও দেখেন না। প্রায় ২৫ বছর হল জন নিজের ডায়েট থেকে চিনি বাদ রেখেছেন। তাঁর ডায়েটের বেশির ভাগ অংশ জুড়েই থাকে ডাল আর ডিমের সাদা অংশ। জন ধূমপানও করেন না। একটি টেলিভিশন শোয়ে শিল্পা শেট্টিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জন ফিটনেসকে ট্রাইপডের স্ট্যান্ডের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘ট্রাইপডের স্ট্যান্ডের মতোই শরীরের ফিটনেস শরীরচর্চা, ডায়েট ও পর্যাপ্ত ঘুমের উপর নির্ভর করে।’’