অভিনেত্রী ও সঞ্চালিকা নেহা ধুপিয়া প্রসব-পরবর্তী সময়ে প্রায় ২৩ কেজি ওজন কমিয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তবে ওজন কমানো তাঁর কাছে গৌণ ছিল। সুস্থ যাপনই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। আর তাই নেহার এই কাহিনি অনেককে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।
প্রসব-পরবর্তী জীবন
দুই সন্তানের মা নেহা ধুপিয়া। তাঁর মতো অনেক নারীর ক্ষেত্রেই সন্তান জন্মের পর শরীরে অতিরিক্ত মেদ থেকে যায়। নেহা নিজেই জানিয়েছিলেন, প্রথম দিকে তাঁর কাছে সন্তানদের দুগ্ধপান করানোই ছিল লক্ষ্য, নিজের শরীর তখন পাত্তা পায়নি অত। কিন্তু লকডাউনের সময় ধীরে ধীরে ক্যালোরি ঝরানোর জন্য ডায়েট শুরু করেন।
ডায়েটের সহজ নিয়ম
নেহা ধুপিয়া কোনও জটিল বা কঠোর ডায়েট অনুসরণ করেননি। বরং সহজ কিছু অভ্যাসে পরিবর্তন আনেন—
চিনি, ভাজাভুজি ও গ্লুটেন বাদ দিয়ে ডায়েট তৈরি করেছিলেন। সন্ধ্যা ৭টায় সন্তানদের সঙ্গে রাতের খাবার খান। সকাল ১১টায় স্বামীর সঙ্গে প্রাতরাশ করেন। এই নিয়মে শুধু তাঁর ওজন নিয়ন্ত্রণে ছিল তা নয়, বরং জীবনযাত্রায় এক ধরনের ছন্দ তৈরি হয়।
অনেক নারীর ক্ষেত্রেই সন্তান জন্মের পর শরীরে অতিরিক্ত মেদ থেকে যায়। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
ব্যায়ামে ভারসাম্য
জিম তাঁর পছন্দ নয়। তবে নেহা দৌড়তে ভালবাসেন, আর সেটাই তাঁর প্রধান ব্যায়াম। প্রবল ঘাম ঝরানো কায়িক পরিশ্রম করার পক্ষপাতী নন তিনি। বরং যা তাঁকে মানায়, সেটিই বেছে নিয়েছিলেন।
মানসিক সুস্থতা ও আত্মবিশ্বাস
শারীরিক এই পরিবর্তন নেহার মানসিক স্বাস্থ্যে বড় প্রভাব ফেলেছে। তাঁর কথায়, “সুস্থ থাকা আমাকে সন্তানদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।”
নেহার যাপন
নেহা ধুপিয়া মনে করেন, তাঁর এই যাপনের মূলমন্ত্র হল, ওজন কমানো কোনও শর্টকাট নয়, ধীরে ধীরে রোজের চলা একটি প্রক্রিয়া। খাদ্যাভ্যাসে ছোট ছোট পরিবর্তন দীর্ঘমেয়াদে বড় প্রভাব ফেলে। মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য একে অপরের পরিপূরক। নিজের প্রতি সহমর্মিতা বজায় রাখা জরুরি।