২০-২১ বছর বয়সে সমস্ত রান্না শিখে গিয়েছিলেন ‘ফ্যাবুলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস’ খ্যাত শালিনী পাস্সি। সাদামাঠা থেকে কেতাদুরস্ত, খটমট রন্ধনপ্রণালীর বিষয়েও পারদর্শী হয়ে উঠেছিলেন। চাইনিজ়, ভারতীয়, তাই— সব রকমের খাবার, এমনকি হায়দরাবাদি বিরিয়ানি বানাতেও জানতেন শালিনী। কিন্তু এখন তিনি আর হেঁশেলে পা দেন না। আর নিজের বা অন্যের জন্য খাবার বানানোর জন্য সময় বার করেন না তিনি। সম্প্রতি একটি পডকাস্টে এসে শালিনী বললেন, ‘‘সকলেই এখন ডায়েট করে। আমিও নির্দিষ্ট কিছু খাবারই খেতে পারি। আমার ছেলেরও পরিমাণ ও পরিমাপ মেপে খাওয়া।’’ এখন ৪৯ বছরের তারকার জীবনে রান্নার জায়গা নিয়েছে মেকআপ।
ফুলকপির স্যালাড। ছবি: ইউটিউবের ভিডিয়ো থেকে।
শালিনী নিজের পছন্দের একটি খাবার বানিয়ে দেখালেন সেই পডকাস্টে। ফুলকপির স্যালাড খেতে ভালবাসেন শালিনী। কী কী রয়েছে সেই স্যালাডে? বাদাম, অ্যাভোকাডো, সবুজ আপেল, বিটনুন, ক্যাপসিকাম, টোফু, ফুলকপি সমেত নানাবিধ শাকসব্জি, অলিভ অয়েল দিয়ে বানানো এই খাবারকে অন্যতম স্বাস্থ্যকর স্যালাড বলে দাবি করলেন শালিনী। প্রথমেই লঙ্কাগুঁড়ো ঢাললেন একটি পাত্রে। কেমন পরিমাণে ঝাল পছন্দ করেন, সেটি বুঝে লঙ্কা দিলেন। তার পর তাতে স্বাদমতো রসুনকুচি, নুন আর গোলমরিচ মিশিয়ে দিলেন শালিনী। স্যালাডের বেস বানানোর জন্য এর মধ্যেই অ্যাভোকাডো থেকে তিন চামচ স্কুপ তুলে মিশিয়ে দিলেন। তার পর লাল, হলুদ এবং সবুজ রঙের বেলপেপার মেশানো হল পাত্রে। অনেকেই বেলপেপারের খোসা না ছাড়িয়েই ব্যবহার করেন। কিন্তু শালিনী বেলপেপারের খোসা সব সময়ে ছাড়িয়ে নেন। এ বার অলিভ অয়েল এবং তিন চামচ মেয়োনিজ় মিশিয়ে দিলেন অভিনেত্রী। শেষে সাজানোর জন্য একাধিক শাকপাতা যোগ করলেন তিনি। বাটির চারধারে পাতাগুলি দিয়ে সাজিয়ে নেওয়ার পর উপকরণগুলি নেড়েচেড়ে তৈরি হল স্যালাড। সবার শেষে সেদ্ধ করা ফুলকপির টুকরোগুলি ছড়িয়ে দিলেন শালিনী।
তেল-মশলা মেশানো খাবার থেকে শত হস্ত দূরে থাকেন বলিউড তারকা। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করাই তাঁর লক্ষ্য। তাই খাবার তৈরি করার সুযোগ পেয়ে মশলাযুক্ত পদ না বানিয়ে পুষ্টিগুণে ভরা স্যালাড বানানো শেখালেন শালিনী। উদ্ভিজ্জ পুষ্টিগুণ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবারে ভরা এই খাবার খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল হবে। পাশাপাশি, শরীরে হরমোনের হেরফের হওয়ার সমস্যা কমবে। সারা দিন শক্তির জোগান দেবে শরীরে। এই স্যালাড একই সঙ্গে পুষ্টিকর এবং প্রদাহনাশী।