Advertisement
E-Paper

Migraine Treatment: মাইগ্রেন আছে? কোন কোন ‘বদ’ অভ্যাসের জেরে ভোগান্তি আরও বাড়বে?

মাইগ্রেন জিনঘটিত রোগ। মস্তিষ্কের ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু উত্তেজিত হলে এই ব্যথা হয়। কোন কোন অভ্যাসে বিপদ আরও বাড়াতে পারে?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২২ ১০:৩৮
আমাদের দৈনিক অনেক অভ্যাসের উপরেও নির্ভর করে মাইগ্রেনের প্রকোপ বাড়বে কি না।

আমাদের দৈনিক অনেক অভ্যাসের উপরেও নির্ভর করে মাইগ্রেনের প্রকোপ বাড়বে কি না। ছবি: সংগৃহীত

প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণা সঙ্গে গা গোলানো কিংবা মাথার এক পাশ থেকে শুরু হয়ে গোটা মাথায় ছড়িয়ে পড়া অসম্ভব ব্যথা, সঙ্গে হালকা জ্বর। এই উপসর্গগুলো মাইগ্রেনের রোগীদের কাছে নতুন নয়। একটানা বেশ ক’দিন থাকার কারণে এই ব্যথা শরীর কাবু করে দেয়। গরমের দিনে সূর্যের প্রখর তাপে এমনিতেই মাথা যন্ত্রণার সম্ভাবনা বাড়ে। তার উপর যদি যোগ হয় মাইগ্রেনের কষ্ট, তা হলে তা এক প্রকার অসহনীয় হয়ে ওঠে।

এই ব্যথার উৎস কী?

মাইগ্রেন জিনঘটিত রোগ। পরিবারের কারও থাকলে, হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মস্তিষ্কের ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু উত্তেজিত হলে এই ব্যথা হয়। সেরেটোনিন নামক রাসায়নিকের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেও এই ব্যথা হয় বলে মত চিকিৎসকদের।

চিকিৎসকদের মতে, কেবল ওষুধ বা প্রয়োজনীয় সাবধানতা না নিলেই যে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে, এমনটা নয়। বরং আমাদের দৈনিক অনেক অভ্যাসের উপরেও নির্ভর করে এ ব্যথার প্রকোপ বাড়বে কি না। প্রতি দিনের বেশ কিছু অভ্যাস ত্যাগ করলে কিন্তু অনেকটা দূরে রাখা যায় এই যন্ত্রণাদায়ক অসুখকে।

নিজের কোনও ভুলেই মাইগ্রেনকে ডেকে আনছেন না তো? কোন কোন অভ্যাসের জেরে মাইগ্রেনের সম্ভাবনা বেড়ে যায় রইল তার হদিশ।

মানসিক চাপ: সারা ক্ষণ অফিসের চাপ, পারিবারিক সমস্যা— এই ঘটনাগুলি এখন আমাদের নিত্য সঙ্গী। এর ফলে বাড়তে থাকে মানসিক চাপ। চিন্তা, উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কিন্তু মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ার অন্যতম কারণ।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

ঘুমের অনিয়ম: প্রতিদিন চেষ্টা করুন ঘুমের জন্য অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা বরাদ্দ রাখতে। একান্ত না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। এক দিন কম ঘুমালেন, কোনও এক দিন বেশি ঘুমালেন এমন না করে ঘুমের মাত্রা সমান রাখার চেষ্টা করুন।

চিনি: অতিরিক্ত চিনি দেওয়া আছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। খাদ্যতালিকায় যত কম চিনিজাতীয় খাবার রাখবেন ততই ভাল। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

আবহাওয়া: চড়া রোদ বা কনকনে ঠান্ডা— দুটোই মাইগ্রেনের জন্য খারাপ। তাই এমন হাওয়ায় একটু সাবধানে থাকতে হবে। এই সময় ব্যায়ামের শরণ নিন, যার প্রভাবে মাইগ্রেন দূরে থাকতে পারে।

খালি পেটে থাকা: দীর্ঘ ক্ষণ না খেয়ে থাকলে অ্যাসিডিটির সমস্যা শুরু হয়। মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়াতে গ্যাসের জুড়ি নেই। তাই কাজের মাঝেও সময় মতো খেতে হবে।

কফির অভ্যাস: কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা হলে তা হঠাৎ করে বন্ধ করবেন না। হু-এর গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাইগ্রেনের রোগীদের ক্যাফিনের উপস্থিতি হঠাৎ করে বন্ধ করে দিলে সমস্যা বাড়ে। আবার মাত্রারিক্ত ক্যাফিনও কিন্তু মাইগ্রেনের রোগীদের জন্য ভাল নয়। তাই কফি খান পরিমিত মাত্রায়।

Migraine Migraine problem Health Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy