নিত্যদিনের কাজেকর্মে, যাপনে অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহার থাকে না, এমন ভারতীয় পরিবারের সংখ্যা কমই আছে। সে অ্যালুমিনিয়ামের ভাতের হাঁড়ি হোক, দুধ রাখার প্যান, খাবার মুড়ে রাখার অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল হোক বা জলের বোতল। এক এক বাড়িতে এক এক রকমের ব্যবহার। কিন্তু সেই অ্যালুমিনিয়াম যে আদপে শরীরের জন্য ক্ষতিকারক, তা জানতেন?
অ্যাসিডিক খাবার রান্নার জন্য অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র ব্যবহার করা উচিত নয়। ছবি: সংগৃহীত।
অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহার স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক কী ভাবে?
অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে রান্না করার অভ্যাস আছে? তা হলে জেনে রাখুন, প্রতি বার প্রায় ১-২ মিলিগ্রাম এই ধাতু আপনার অজান্তেই খাবারে মিশে যায়। আর এর ফলে ডিমেনশিয়া, অ্যালঝাইমার্সের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি, এমনকি কিডনির রোগের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র মতে, এক জন প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি দিন প্রায় ৫ মিলিগ্রাম অ্যালুমিনিয়াম গ্রহণ করতে পারেন। যদি মানুষের শরীরে এর চেয়ে বেশি অ্যালুমিনিয়াম চলে গেলে, তা নানাবিধ ক্ষতি করতে পারে।
একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অ্যালঝাইমার্স, পার্কিনসনিজ়ম ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত কিছু রোগীর মস্তিষ্কের টিস্যুতে অ্যালুমিনিয়ামের মাত্রা বেশি। তবে এখনই এই গবেষণার ভিত্তিতে এর থেকে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে গবেষণায় এ-ও দেখা গিয়েছে, অ্যালুমিনিয়ামের রান্নার পাত্র ঘন ঘন ব্যবহার করলে মাথায় ব্যথা হতে পারে।
আরও পড়ুন:
রান্না করার সময়ে ভিনিগার, টম্যাটো, এমনকি লেবুর মতো অ্যাসিডিক খাবারের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটায় অ্যালুমিনিয়াম। ফলে খাবারে মিশে যায় এই ধাতু। খাবারের মধ্যে অ্যালুমিনিয়ামের আধিক্য দেখা দেওয়ার ফলে স্বাস্থ্যে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। আর তাই অ্যাসিডিক খাবার রান্নার জন্য অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র ব্যবহার করা উচিত নয়।
তা ছাড়া ক্যানসার এবং কিডনির রোগের মতো মারণরোগের আশঙ্কা তৈরি হতে পারে অ্যালুমিনিয়ামের অতিরিক্ত ব্যবহারে। এই ধাতুর পাত্রে রান্না করলে শরীরে বিষাক্ত পদার্থের পরিমাণ বেড়ে যায়।