Advertisement
E-Paper

ব্যয়সাপেক্ষ ‘ব্রেন স্ক্যান’ নয়, সাধারণ রক্ত পরীক্ষাতেও ধরা পড়বে অ্যালঝাইমার্স! নতুন মার্কার আসছে

মনোরোগের অনেক ধরন রয়েছে, তার মধ্যে অ্যালঝাইমার্সকে আলাদা করে চিহ্নিত করা খুবই কঠিন। তা হলে উপায়? সেই পথেরই সন্ধান পেয়েছেন গবেষকেরা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২৫ ১৭:২৩
FDA approved the first blood test to detect Alzheimer’s disease early

অসুখ জাঁকিয়ে বসার কয়েক বছর আগেই ধরা পড়বে লক্ষণ, রক্ত পরীক্ষায় ঠিক কী কী দেখবেন বিজ্ঞানীরা? ফাইল চিত্র।

অ্যালঝাইমার্সের মতো দুরারোগ্য ব্যধি শনাক্ত করার সাধারণ কোনও পরীক্ষা পদ্ধতি ছিল না এত দিন। খুবই ব্যয়সাপেক্ষ ‘ব্রেন স্ক্যান’ অথবা জিনগত বিন্যাস পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা দেখতেন, অ্যালঝাইমার্স হয়েছে কি না বা এই জাতীয় রোগ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে কি না। মনোরোগের অনেক ধরন রয়েছে, তার মধ্যে অ্যালঝাইমার্সকে আলাদা করে চিহ্নিত করা খুবই কঠিন। তা হলে উপায়? সেই পথেরই সন্ধান পেয়েছেন আমেরিকার বিজ্ঞানীরা। সাধারণ রক্ত পরীক্ষাতেই ধরা পড়বে রোগের লক্ষণ, তার জন্য নতুন ‘মার্কার’ আসতে চলেছে।

আমেরিকার ফুজিরেবিয়ো ডায়াগনস্টিকস রক্তের নতুন পরীক্ষা নিয়ে গবেষণা করছে। বহু বার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পরে পরীক্ষা পদ্ধতিটি্কে অনুমোদন দিয়েছে আমেরিকার ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ)। গবেষকেরা জানিয়েছেন, অ্যালঝাইমার্সের রোগীদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অংশটি সঙ্কুচিত হতে থাকে। দু’টি প্রোটিনের ক্ষরণ বেড়ে যায়— অ্যামাইলয়েড ও টাও। এই দু'টি প্রোটিনকে চিহ্নিত করা গেলেই, অ্যালঝাইমার্স বাসা বাঁধছে কি না, তা বোঝা যাবে। নতুন রক্ত পরীক্ষায় ওই দু’টি প্রোটিন শনাক্তকরণের কাজই হবে।

যেহেতু অ্যালঝাইমার্স চিকিৎসায় সারে না, তাই প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ার উপরে জোর দেওয়া হয়। কারণ, যদি রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে, তবেই কিছু বছর পর্যন্ত অন্তত উপসর্গগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা যায়, মস্তিষ্কের ক্ষয়ের গতিকে যত দূর সম্ভব কমিয়ে রাখার প্রচেষ্টা চলে। পাশাপাশি স্মৃতিভ্রংশের হাত ধরে যে সব শারীরিক সমস্যা আসতে শুরু করে, সেগুলির দিকেও নজর রাখতে পারেন চিকিৎসকেরা।

অ্যালঝাইমার্স চিহ্নিত করতে ‘পিইটি’ (পজিট্রন এমিসন টোমোগ্রাফি) টেস্ট করা হয়। এটি এক ধরনের ‘ব্রেন ইমেজিং টেস্ট’, যার পদ্ধতি জটিল ও ব্যয়সাপেক্ষ। মস্তিষ্কে টিউমার হচ্ছে কি না, তা-ও ধরা যায় এই টেস্টে। তবে সাধারণ মানুষের পক্ষে এই পরীক্ষাটি করানো সম্ভব হয় না অনেক সময়েই। সে ক্ষেত্রে রক্তের প্রোটিন পরীক্ষার পদ্ধতি সহজ বলেই মনে করছেন গবেষকেরা। যেহেতু অসুখ ধরা পড়ার অনেক আগে থেকেই মস্তিষ্কে অ্যামাইলয়েড এবং টাও প্রোটিন জমা হতে থাকে, এবং স্নায়ুকোষগুলি নষ্ট হতে থাকে, তাই পরীক্ষাটি আগে থেকে করিয়ে রাখলে ভবিষ্যতে অ্যালঝাইমার্স হতে পারে কি না, তার আগাম আভাস পাওয়া সম্ভব হবে। সহায়ক চিকিৎসাও দ্রুত শুরু করা যাবে।

Alzheimer's Disease neurological dissease
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy