কৃত্রিম পদ্ধতিতে রাসায়নিক ব্যবহার করে পাকানো আম সহজে আলাদা করা যায় না। প্রতীকী ছবি।
আমের মরসুমে রোজের পাতে এক টুকরো আম থাকবে না, তা কী করে হয়! আম খেতে যাঁরা ভালবাসেন, গরমকালের জন্য তাঁরা অপেক্ষা করে থাকেন। বাজারে গিয়ে আম দেখতে পেলেই তা বাড়ি নিয়ে আসার জন্য উচাটন হয় মন। তবে পাকা আম দেখলেই তা সঙ্গে সঙ্গে ঝুলিতে ভরে নেওয়া কিন্তু ঠিক হবে না। অনেক সময় রাসায়নিক ব্যবহার করেও আম পাকানো হয়। কার্বাইড তো আম পাকানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় সবচেয়ে বেশি। কৃত্রিম পদ্ধতিতে রাসায়নিক ব্যবহার করে পাকানো আম সহজে আলাদা করা যায় না। তাই কেনার আগে একটু সচেতন থাকা জরুরি। কৃত্রিম ভাবে পাকানো আম খেলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
বমি, ডায়েরিয়া, অতিরিক্ত দুর্বলতা, বদহজম, মাথাব্যথা, বুকে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এগুলি খুবই প্রাথমিক উপসর্গ। এ ছাড়াও রাসায়নিকের বিক্রিয়ায় শরীরে আরও গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরে এই ধরনের রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করার ফলে আলসার, এমনকি চোখের নানা সমস্যাও জন্ম নিতে পারে।
রাসায়নিক ব্যবহার করে পাকানো আম যদি অন্য কোনও খাবারের মাধ্যমে শরীরে যায়, তা হলে তার প্রভাব এক রকম হবে। কিন্তু সরাসরি এমন আম খেলে সঙ্গে সঙ্গে কাশি, অ্যালার্জি, মাথাব্যথার মতো সমস্যাও দেখা দেওয়ার আশঙ্কা অমূলক নয়।
কৃত্রিম পদ্ধতিতে পাকানো আম খাওয়ার ফলে ‘হাইপক্সিয়া’ হওয়ার আশঙ্কাই সবচেয়ে বেশি। এই অসুখে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন প্রতিটি কোষে পৌঁছতে পারে না। সেই কারণেই বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
কার্বাইডে পাকানো আম চিনবেন কী করে?
রাসায়নিক পদ্ধতিতে পাকানো আম বোঝা যায় কয়েকটি বৈশিষ্ট্য দেখে। তাই আম কেনার আগে কয়েকটি বিষয় যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাকা আমের গায়ে যদি সবুজ আভা থাকে, তা হলে এই আভার কারণ হতে পারে কার্বাইড। আবার আমের আকারও কিন্তু বড় একটা বিষয়। আমের আকার খুব ছোট মনে হলে না কেনাই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy