মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে লিভারের অসুখের ইঙ্গিত। ছবি: শাটারস্টক।
কেবল মদ্যপান করলেই যে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে, এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। অতিরিক্ত মদ্যপান লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় ঠিকই, তবে যাঁরা নিয়মিত মদ্যপান করেন না, তাঁরাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন সহজেই। লিভারে অতিরিক্ত পরিমাণ স্নেহপদার্থ জমে যাওয়াই এই রোগের কারণ। প্রাথমিক ভাবে খুব বেশি উপসর্গ দেখা না গেলেও একটি উপসর্গ রয়েছে, যা ইঙ্গিত দিতে পারে ফ্যাটি লিভারের। এই উপসর্গটি হল মুখের দুর্গন্ধ।
ফ্যাটি লিভার রোগের একটি অদ্ভুত লক্ষণ হল ‘মৃতের শ্বাস’। বিজ্ঞানের ভাষায় 'ফেটর হেপাটিকাস' নামে পরিচিত এই ‘মৃতের শ্বাস’ এক প্রকার দীর্ঘস্থায়ী গন্ধ, যা স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস ও মুখের গন্ধের থেকে একেবারেই আলাদা। নির্দিষ্ট কোনও খাবার খাওয়ার পরে বা সকালে নিশ্বাসের দুর্গন্ধ আসা স্বাভাবিক। কিন্তু ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন এমন লোকেদের ক্ষেত্রে এটি সারা দিন থাকে। সারা দিন নিশ্বাসে সালফারের মতো তীব্র গন্ধ থাকে। এটি ফ্যাটি লিভার রোগের একটি সুস্পষ্ট লক্ষণ এবং কোনও মতেই তাকে উপেক্ষা করা উচিত নয়।
লিভারের মূল কাজ শরীরের বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ ও ভারী ধাতুকে রক্ত থেকে পরিশুদ্ধ করা। যখন যকৃৎ
সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না, তখন এই উপাদানগুলি দেহের বিভিন্ন অঙ্গে জমা হতে থাকে। শ্বাসনালি ও শ্বসনতন্ত্রও তার ব্যতিক্রম নয়। এই ধরনের একটি পদার্থ হল ডাইমিথাইল সালফেট। এটি শ্বাসের মাধ্যমে নির্গত বাতাসের সঙ্গে মিশ্রিত হয় বলেই এমন ঘটনা ঘটে। মুখের গন্ধের সঙ্গে সঙ্গে হলুদ রঙের প্রস্রাব, পেটে ব্যথা, অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, পা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যাও লিভারের সমস্যার উপসর্গ। এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy