বয়স ৪৫। তবে তা দেখে বোঝার উপায় নেই। মহারাষ্ট্রের মুখমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের স্ত্রী অম্রুতাকে দেখলে বোঝা যায়, তিনি বেশ ফিট। মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী, এইটুকুই অবশ্য তাঁর পরিচয় নয়, এক সময় ব্যাঙ্কেও উচ্চ পদ সামলেছেন তিনি। কাজ করেছেন মিউজ়িক ভিডিয়োয়। সমাজকর্মীও তাঁর পরিচয়ের একটি দিক।
অম্রুতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁর দিন শুরু হয় হলুদ এবং গোলমরিচের জল খেয়ে। খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। তবে হলুদের সঙ্গে গোলমরিচ! এতে বাড়তি উপকার কী হতে পারে?
হলুদের কারকিউমিন
হলুদের ব্যবহার ভারতে শুধু মশলা হিসাবে নয়, ঔষধি হিসাবেও। ভিটামিন ই বা ভিটামিন সি-র তুলনায় কয়েক গুণ বেশি কার্যকরী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট কারকিউমিন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। কারকিউমিনে রয়েছে প্রদাহনাশক, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান।
গোলমরিচের পিপারিন
আরও পড়ুন:
গোলমরিচে পিপারিন নামে এক যৌগ রয়েছে, যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বমি ভাব কমায়। তবে সবচেয়ে বড় উপকারটি হল, গোলমরিচে থাকা উপাদান হলুদের কারকিউমিন শোষণের ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে, হলুদ-জল খেলে যে উপকার হবে, গোলমরিচ থাকলে সেই উপকারিতার পরিধি বেড়ে যেতে বাধ্য।
প্রদাহনাশক: কারকিউমিন এবং পিপারিনের যৌথ শক্তি জোরালো প্রদাহনাশক হিসাবে কাজ করে। ব্যথা, অসুস্থতার নেপথ্যে অনেক সময়েই প্রদাহ কাজ করে। সেই প্রদাহ কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে হলুদ-গোলমরিচের পানীয়।
হজমে সহায়ক: পিপারিন গ্যাস-অম্বল দূর করতে সাহায্য করে। হলুদও হজম করায়। ফলে এই পানীয়ে পেটফাঁপার মতো সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি হজমক্ষমতা বাড়তে পারে।
মস্তিষ্কের বর্ম: কারকিউমিন ব্রেন-ডিরাইভড নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর (বিডিএনএফ) নামক একটি প্রোটিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। বিডিএনএফ মস্তিষ্কের কোষগুলির (নিউরন) কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। স্মৃতিশক্তি, শেখার ক্ষমতা উন্নত হয় এতে। গোলমরিচ শরীরে কারকিউমিন গ্রহণ করার মাত্রা বৃদ্ধি করে পরোক্ষে মস্তিষ্কের সুরক্ষাবর্ম হিসাবে কাজ করে।
ক্যানসার প্রতিরোধী: বলা হয়, কারকিউমিনে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান। বিভিন্ন সময়ে গবেষণায় দেখা গিয়েছে কারকিউমিন ক্যানসার কোষের শক্তি কমাতে সহায়ক। যদিও এটি গবেষণাসাপেক্ষ। এ বিষয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন।