রুপোলি দুনিয়ায় নিজেকে সুন্দর ভাবে মেলে ধরেন তারকারা। তবে নায়িকাদের তন্বী চেহারা এবং জমকালো লুকের নেপথ্যে বহু রহস্য লুকিয়ে থাকে। অভিনেত্রী সোনালি কুলকর্ণী এই দৌড়ে নাম লেখাতে নারাজ। সম্প্রতি ফিটনেস নিয়ে মনের কথা ব্যক্ত করেছেন সোনালি।
আরও পড়ুন:
সোনালির বয়স ৫০ বছর। ফিট থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। সাইকেল চালানো তাঁর শখ। একসঙ্গেই সুষম আহার করার চেষ্টা করেন। তবে অভিনেত্রী জানিয়েছেন ক্যামেরার সামনে নিজেকে রোগা দেখানে বহু নায়িকা নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন। এর ফলে অনেক সময়েই তাঁরা কঠিন রোগে আক্রান্ত হন। ‘দিল চাহতা হ্যায়’ খ্যাত অভিনেত্রী বলেন, ‘‘ওষুধ কেতে খেতে অনেকেরই হজমের সমস্যা হয়। অনেককেই দেখেছি, খাবার খাওয়ার পরেই বমি করে ফেলেন!’’
তারকাদের এই প্রবণতা নিয়ে আপত্তি রয়েছে সোনালির। তিনি বলেছেন, ‘‘কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া তারা কেন এই ধরনের ওষুধ খেতে শুরু করে জানি না। পরবর্তী সময়ে কোনও সমস্যা হলে, ভুগতে হয় সেই পরিবারকেই।’’

সোনালি কুলকর্ণী। ছবি: সংগৃহীত।
সোনালি জানিয়েছেন, বলিউডে রূপটান ছাড়া নতুন প্রজন্মের নায়িকাদের প্রকাশ্যে দেখাই যায় না। নিজেকে নিজের মতো করে মেলে ধরার মধ্যে কোনও রকম দোষ নেই বলে বিশ্বাস করেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেত্রী। কড়া ওষুধ থেকে ব্যক্তির স্ববাবে পরিবর্তনো হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। সোনালির কথায়, ‘‘এখন কার অভিনেত্রীরা অল্পেতেই চটে যায়। নিজেদের টিমের সদস্যদের সঙ্গে কতটা খারাপ ব্যবহারটাই না করেন তাঁরা। দেখে অবাক হই।’’ তবে সোনালি বাকিদের মতো ওজন কমানোর দৌড়ে শামিল হতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে যেমন দেখতে, আমি সে রকমই। স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে কোনও ভাবেই আমি ওজন ঝরাতে রাজি নই!’’
সোনালির ফিটনেসের নেপথ্যে
সোনালি জানিয়েছেন, সপ্তাহে তিন দিন ওয়েট ট্রেনিং করেন। বাকি তিন দিন তিনি যোগাভ্যাস করেন। সোনালির কথায়, ‘‘আমি হাঁটতেও খুব ভালবাসি। শরীরচর্চার ক্ষেত্রে যাতে নিজেকে কোনও অজুহাত না দিতে হয়, তার জন্য চেষ্টা করি।’’
সোনালি জানিয়েছেন, তিনি সব ধরনের কাবার খেতেই পছন্দ করেন। তবে মাত্রাতিরিক্ত কিছু খান না। সোনালির কথায়, ‘‘এখন গরমের সময় আমও খাচ্ছি। আবার গুলাব জামুনও আমার পছন্দের। কিন্তু কী এবং কতটা পরিমাণ খাচ্ছি, সে দিকে আমি খেয়াল রাখি।’’