৫ মাস ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে সেই খুদে। —ফাইল চিত্র
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার তেইশ সপ্তাহের মাথায় হঠাৎ করেই তীব্র ব্যথা শুরু হয় ব্রিটেনের হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সি লরেন অর্মস্টনের। হাসপাতালে যেতেই চিকিৎসকরা জানান, প্রসববেদনা শুরু হয়েছে তাঁর। সময়ের আগেই এমন ঘটনায় চমকে ওঠেন তিনি। তড়িঘড়ি হাসপাতালের বিশেষ কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন লরেন।
সময়ের আগেই জন্মের ফলে সদ্যোজাতের দেহে গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়। লরেন জানিয়েছেন, স্বাভাবিকের থেকে ওজন ও আকারে এতটাই ছোট ছিল মেয়ে যে, দু’হাতের তালুতে নেওয়া যাচ্ছিল তাকে। জন্মের পর শ্বাস নিতে পারছিল না সে। মাথায় শুরু হয় রক্তক্ষরণ। এমনকি হৃদ্যন্ত্রেও ছিদ্র ছিল খুদে কন্যার। লোরেনের দাবি, চিকিৎসকরা জানান মেয়ের বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র ১০ শতাংশ। কিন্তু হাল ছাড়েননি তাঁরা। অসম্ভবের আশায় চিকিৎসা চালিয়ে যান তাঁরা, আর তাতেই হয়েছে অসাধ্যসাধন।
জন্মের পর ৫ মাস ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে সেই খুদে। লরেন মেয়ের নাম রেখেছেন ইসলা। এখন তার ওজন প্রায় সাড়ে ৪ কিলোগ্রাম। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ছোট্ট ইসলার বেঁচে যাওয়া ‘মিরাকল’ বললেও কম বলা হয়। ৫ মাসের লড়াই শেষে মেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠায় খুশি লরেনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy