Advertisement
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Diabetes and Mango

ডায়াবিটিস থাকলেও খাওয়া যেতে পারে আম, তবে ঝুঁকি এড়াতে কোন ৩ নিয়ম মেনে চলতে হবে?

ডায়াবিটিস থাকলে আম খাওয়া যায় কি না, তা নিয়ে একটা ধন্দ কাজ করে অনেকের মধ্যেই। আম কি ডায়াবিটিসের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে?

Symbolic Image.

সারা দিনে অন্তত কয়েক মিনিটের শরীরচর্চার অভ্যাসে বশে রাখা যায় ডায়াবিটিসের মাত্রা। প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৩ ১১:২৮
Share: Save:

অফিসের বার্ষিক মেডিক্যাল চেকআপে ডায়াবিটিস ধরা পড়েছে দীপাঞ্জনের। রিপোর্ট আসতেই তাই মাথায় হাত। বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মা রয়েছেন। দু’জনেই ডায়াবেটিক। ডায়াবিটিস থাকলে জীবনে কী কী বিধিনিষেধ চলে আসে, সে কথা ভাল করেই জানেন তিনি। দীপাঞ্জন খাদ্যরসিক। খাবারের প্রতি এ জীবনে তাঁর সবচেয়ে বেশি প্রেম। মিষ্টি খেতেও ততোধিক ভালবাসেন তিনি। গত বছরেই বন্ধুর বিয়েতে দেদার রসগোল্লা খাওয়ার প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছেন। ডায়াবিটিস সেই প্রেমের পথে কাঁটা হয়ে উঠবে ভেবেই মন খারাপ তাঁর। তা ছাড়া এখন আমের মরসুম। অফিস যাওয়ার আগে আম চিঁড়ে আর রাতে ফিরে রুটির সঙ্গে আম। ছুটির দিন বাদে সারা সপ্তাহ এই থাকে তাঁর পাতে। ডায়াবিটিসে কি আমও খাওয়া যাবে না? চিকিৎসকের কাছে গিয়ে তাই প্রথম প্রশ্ন এটাই রেখেছিলেন দীপাঞ্জন।

চিকিৎসক কিন্তু দীপাঞ্জনকে নিরাশ করেননি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, যে ডায়াবিটিস থাকলে আম খাওয়া যাবে। তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে। তবুও ঝুঁকি তো একটা থেকেই যায়। কারণ আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ একেবারে কম নয়। তাই আম খেলে পাশাপাশি মেনে চলতে কিছু নিয়মও। সেগুলি কী?

ধারাবাহিক শরীরচর্চা

নিয়ম করে শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। ডায়াবিটিস থাকলে শরীরচর্চা করা বাধ্যতামূলক। সারা দিনে অন্তত কয়েক মিনিটের শরীরচর্চার অভ্যাসে বশে রাখা যায় ডায়াবিটিসের মাত্রা। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পরেও যদি আম খেতেই হয়, তা হলে হাঁটাহাঁটি, লাফালাফি করা ছাড়া উপায় নেই।

সঠিক ডায়েট

আম খেতে চাইলে রাশ টানতে হবে অন্যান্য খাবারে। কার্বোহাইড্রেট এবং জিআই-এর পরিমাণ বেশি এমন খাবার পাতে রাখা উচিত হবে না। যে দিন আম খাচ্ছেন, পরবর্তী দু’দিন কোনও রকম মিষ্টি খাবার না খাওয়াই ভাল।

পর্যাপ্ত জল খাওয়া

ডায়াবেটিকদের শরীরে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে গেলে মুশকিল। সে ক্ষেত্রে ডায়াবিটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। গরমে এই আশঙ্কা বেশি থাকে। আবার একটু অনিয়ম করলেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমের স্বাদ যদি নিতেই হয়, তা হলে জলও খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE