হৃদ্রোগ মানেই সামান্য পরিশ্রমেও বিপদের ভয়, আর হাত ধরে নাকচ প্রায় সব কষ্টসাধ্য ব্যায়াম। খাওয়াদাওয়া থেকে শরীরচর্চা— এক বার হৃদ্রোগ ধরা পড়লে জীবনে চলে আসে নানা প্রকার বাধা-নিষেধ। হার্টের রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম, সারা দিনে ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম ভীষণ জরুরি।
মুম্বইয়ের কার্ডিয়োলজিস্ট রাজেশ মাট্টা জানিয়েছেন, হার্টের রোগীদের জন্য ‘নকটাারনাল ডিপিং’ ভীষণ জরুরি। চিকিৎসক বলেন, ‘‘রাতে ঘুমোনোর সময় রক্তচাপ ১০-২০ শতাংশ হারে কমে যায়। ফলে হৃদ্যন্ত্র আর রক্তজালিকাগুলি মেরামতির সময় পায়। এই প্রক্রিয়ার নামই হল ‘নকটারনাল ডিপিং’। অনেকেই রাতে দেরি করে ঘুমোতে যান। হার্টের রোগীদের জন্য এই অভ্যাস মোটেও ভাল নয়। ভাল ঘুম হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রে দাওয়াইয়ের মতো কাজ করে।’’
হার্টের রোগীদের ঘুমোনোর সময় কী কী অভ্যাস মেনে চলতে হবে?
১) ঘুমের সময় বেঁধে দিন। রোজ একই সময়ে ঘুমোতে যান, চেষ্টা করুন একই সময় উঠতে। কার্ডিয়োভাসকুলার সিস্টেম একটি নির্দিষ্ট ছন্দে চলে, ঘুমের সময় এদিক-ওদিক হলেই সেই ছন্দে ব্যাঘাত ঘটে।
২) অন্ধকার ঘরে শীতল পরিবেশে ঘুমোন। এসি চালালে তাপমাত্রা ১৮-২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নীচে নামাবেন না।
৩) রাতে ঘুমোনোর তিন থেকে চার ঘণ্টা আগে ভারী খাবার কিংবা কফি খাওয়া চলবে না। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
৪) ঘুমোনো ঘণ্টাখানেক আগে থেকে ফোন, টিভি দেখা বন্ধ করতে হবে। ব্লু লাইট মেলাটোনিন উৎপাদনে বাধা দেয়, ফলে ঘুম আসতে চায় না।
হার্টের রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম, সারা দিনে ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম ভীষণ জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
হার্টের রোগীদের জন্য কী ভাবে শোয়া ভাল?
হার্টের অস্ত্রোপচার হয়েছে কিংবা হৃদ্রোগ ধরা পড়েছে এমন রোগীদের সাধারণত ডান দিকে ফিরে শোয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। ডান দিকে ফিরে শুলে হৃদ্যন্ত্রের উপর কম চাপ পড়ে। বাঁ দিকে ফিরে শুলে অনেক হৃদ্রোগীদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। হার্টের রোগীদের জন্য চিৎ হয়ে শোয়া ঠিক নয়।