ছবি: প্রতীকী
মুখে স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা বললেও লুচি দেখলে বাঙালি নাল-ঝোল এক হয়ে যায়। অন্যান্য দিন না হলেও ছুটির দিনে সকালের জলখাবার লুচি ছাড়া জমে না। আর যদি কোনও পালা-পার্বণ পড়ে যায়, তা হলে তো কথাই নেই। বাকি দিনগুলি না হয় একটু ‘নো কার্ব’ আর ওট্সজাতীয় কিছু খেয়ে কাটিয়ে দেওয়া যাবে। এই ভেবে যদি ডায়েট করেন, তা হলে সেগুড়ে বালি। কারণ, একটি মাত্র লুচিতে যে পরিমাণ তেল থাকে, তা শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়। সম্প্রতি এক পুষ্টিবিদ এবং প্রভাবী তাঁর সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেছেন বাঙালির প্রিয় সেই লুচির ‘অন্ধকারময়’ হিসাব।
তিনি জানিয়েছেন, ৬টি লুচি ভাজার জন্য তিনি ২০০ গ্রাম তেল নিয়েছিলেন। ভাজার পর কড়াইতে যতটা তেল পড়ে ছিল, তার পরিমাণ ১৫০ গ্রাম। অর্থাৎ, ৬টি লুচি ভাজতে তেল লেগেছে (২০০-১৫০=৫০) অর্থাৎ, একটি লুচিতে তেলের পরিমাণ ৮.৩ গ্রাম। একটি মাত্র লুচিতে ক্যালোরির পরিমাণ ১৭০।
তা হলে কি লুচি খাবেন না?
পুষ্টিবিদদের মতে, ক্যালোরির উৎস হল স্যাচুরেটেড ফ্যাট। তাই নিয়মিত লুচি না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। তবে, দু’মাস অন্তর লুচি খেলে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
লুচি তৈরি করার আগে এবং পরে কী কী মাথায় রাখবেন?
লুচি ভাজার পর, অতিরিক্ত তেল শুষে নেওয়ার জন্য টিসু পেপারের উপর রাখতে পারেন।
লুচির ময়দা মাখার সময়ে সামান্য একটু বেকিং সোডা দিতে পারেন।
ময়দার সঙ্গে এমন আটা মেশাতে পারেন, যাতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। এই ফাইবার লুচিতে তেল ধরে রাখতে দেয় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy