Advertisement
E-Paper

সাফল্যের পথে অন্তরায় ক্লান্তি! ভুল কাজে শ্রম দিচ্ছেন কি? কোন অভ্যাস ছাড়া দরকার এখনই?

অফিস, ডেডলাইন, পরিবার ইত্যাদি নিয়ে দিনভর টানাপড়েনে ক্লান্ত? জীবনে সাফল্য চাইছেন, তবে ক্লান্তি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে? ভেবে দেখা দরকার, কাজের শক্তি অকাজে ব্যয় হচ্ছে না তো?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২৫ ১৯:২২
কাজ করার ইচ্ছা থাকলেও শরীর সঙ্গ দিচ্ছে না? ভুল কাজে শক্তি খরচ করেন কি?

কাজ করার ইচ্ছা থাকলেও শরীর সঙ্গ দিচ্ছে না? ভুল কাজে শক্তি খরচ করেন কি? ছবি: সংগৃহীত।

যত ক্ষণ না ঘুমে চোখ জড়িয়ে আসছে, তত ক্ষণ কাজ করতে হবে। একটা নয়, একসঙ্গে একাধিক। ঘুমিয়ে উঠেও স্বস্তি নেই। বাকি রাখা কাজ শেষ করতে হবে। অফিস, ডেডলাইন, পরিবার ইত্যাদি নিয়ে দিনভর টানাপড়েনে ক্লান্ত? জীবনে সাফল্য চাইছেন, তবে ক্লান্তি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে? ভেবে দেখা দরকার, কাজের শক্তি অকাজে ব্যয় হচ্ছে না তো?

শরীর বিশ্রাম চাইছে, আপনি বলছেন ‘না’:

বন্ধুরা বলছেন, রাত জাগতেই হবে। না হলে পার্টিতে থাকবে কে? সঙ্গী বলছেন, সপ্তাহ শেষে বেড়াতে চলো। কিংবা অফিস বলছে, কাজ কালই চাই। কিন্তু শরীর কী বলছে? রাত জাগলে, পরের দিন কি কাজ করা সম্ভব হবে? সপ্তাহশেষে যখন বেড়ানোর পরিকল্পনা করলেন, শরীর চাইছে গভীর ঘুম, বিশ্রাম। শরীর যখন টানতে পারছেন না, কাজ নিয়ে বসছেন। দিনভর চনমনে থাকতে শরীরের কথাও শোনা দরকার।

নিজেকে অসীম ক্ষমতার অধিকারী ভাবার দরকার আছে কি?

স‌ংসার, সন্তান, অফিস, ব্যক্তিজীবন— নানা দিক একসঙ্গে সামলাতে হয়? নানা রকম কাজ একই সঙ্গে করতে গেলে কিন্তু শক্তিক্ষয়ও বেশি হয়। এই ট্যাব দেখছেন, তার পর বার্তা পাঠাচ্ছেন, ল্যাপটপে কাজের কোনও একটি বিষয় খুঁজছেন। বিভিন্ন রকম কাজ একটার সঙ্গে একটা করতে গেলে কিন্তু মস্তিষ্ক প্রতিটি কাজ পুনর্মূল্যায়ন করে। এতে কিন্তু শক্তিক্ষয় বেশি হয়। তার চেয়ে এক সময়ে একটি কাজ মনোযোগ দিয়ে করা ভাল।

স্নায়ু বিশ্রাম পাচ্ছে কি?

দিনের শেষে এসে না ঘুমিয়ে মোবাইল দেখছেন, চ্যাট করছেন, ফোনালাপ চলছে, সিনেমা দেখছেন। এতে মন হয়তো ভাল থাকছে, কিন্তু বিশ্রাম আদৌ হচ্ছে কি? দিনভর চোখ-মস্তিষ্ক সমান তালে কাজ করছে। সিনেমা দেখা বা গল্প করায় খামতি হচ্ছে না। স্নায়ু বিশ্রাম পাওয়ার বদলে উদ্দীপিত হয়ে উঠছে।

অন্যের আবেগকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে নিজেকে অবহেলা করছেন কি?

অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে গিয়ে কি নিজের মনের কথা চেপে রাখছেন। নিজের অনুভূতির প্রতি অবিচার করলেও কিন্তু সমস্যা হতে পারে। কোনও মোবাইল অ্যাপ যদি বন্ধ না করে রাখা হয় সেটি যেমন অলক্ষ্যে চলতে থাকে, এ-ও খানিক তেমন। এতেও কিন্তু মানসিক শক্তি ক্ষয় হয়।

ঘুম থেকে উঠেই ফোন নিয়ে ব্যস্ততা?

ঘুম থেকে উঠে আড়মোড়া ভাঙতে না ভাঙতেই চোখ চলে যায় ফোনে? ক্রমাগত স্ক্রোলিং, দুঃখের খবর, নোটিফিকেশন দেখতে দেখতেও কিন্তু স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে। বদলে ঘুম থেকে উঠে শান্ত ভাবে বসুন। গভীর শ্বাস নিন। জল খেয়ে ভেবে নিতে পারেন সারা দিন কী করবেন?

success
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy