লিভার খারাপ থাকলে শরীর ভাল থাকতে পারে না। কারণ, এই একটি প্রত্যঙ্গ প্রতি মুহূর্তে নানা ধরনের দূষণ এবং বিষাক্ত পদার্থ থেকে মুক্ত করে চলেছে শরীরকে। সেই প্রক্রিয়ায় যদিও লিভারেরও ক্ষতি হচ্ছে। দূষিত পদার্থ জমছে লিভারের দেওয়ালে। ফ্যাটি লিভার তেমনই এক রোগ। এমসের একটি রিপোর্ট বলছে, ভারতে প্রতি তিন জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে এক জন ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত। খাদ্যাভ্যাস এবং অনিয়মিত জীবনযাপনই এর জন্য দায়ী। তবে চাইলে কিছু ভাল অভ্যাস গড়ে তুলে লিভারকে ভাল রাখাও যায়। এক পুষ্টিবিদ বলছেন, টানা এক মাস একটি পানীয় খেলে লিভার দূষণমুক্ত হবে। সুস্থও থাকবে।
ন্যাম নামের ওই পুষ্টিবিদ ‘এনসিয়েন্ট ডাইজিন’ নামে সমাজমাধ্যমে একটি পরামর্শমূলক অ্যাকাউন্ট চালান। যেখানে তিনি ভাল থাকার নানা প্রাকৃতিক উপায় ভাগ করে নেন অনুগামীদের সঙ্গে। অভয় দেওল, রাধিকা আপ্তে, নার্গিস ফকরি-সহ বলিউডের বহু তারকাই রয়েছেন তাঁর অনুগামীর তালিকায়। ন্যাম জানিয়েছেন, তিনি নিজে প্রাকৃতিক ওষুধে নিজের লিভারের অসুখ সারিয়েছেন এবং এখন তিনি প্রকৃতি থেকে যাবতীয় ঔষধি সাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় ব্রতী হয়েছেন। তেমনই এক ভিডিয়োয় তিনি লিভার পরিষ্কার রাখার এক ঔষধি পানীয়ের কথা বলেছেন।
ন্যাম জানিয়েছেন, এক গাঁট মাপের কাঁচা হলুদের টুকরো, সমপরিমাণের আদার টুকরো এবং ৫-৭টি গোলমরিচের দানা একসঙ্গে থেঁতো করে ৭৫০ মিলিলিটার গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ১৫ মিনিট। তার পরে সেই জল খালি পেটে খান। টানা ৩০ দিন এটি করলে লিভার দূষণমুক্ত হবে।
কিন্তু লিভারকে দূষণমুক্ত করতে কি শুধু ডিটক্স পানীয়ই যথেষ্ট? পুষ্টিবিদ শ্রেয়া চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘ওই ডিটক্স পানীয়ে যে তিনটি উপাদান দেওয়া হয়েছে, সেই তিনটিই লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। পাশাপাশি, সকালে খালি পেটে অনেকটা জল খাওয়াও লিভারের জন্য এবং সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্যেও ভাল। তাই ওই পানীয় ফ্যাটি লিভার বা ওই ধরনের লিভারের অসুখ কমাতে সাহায্য করতেই পারে।’’ তবে পুষ্টিবিদ আরও একটি বিষয় মাথায় রাখার কথাও বলছেন।
শ্রেয়া জানাচ্ছেন, লিভারকে দূষণমুক্ত করার জন্য এই পানীয় খাওয়ার পাশাপাশি খাবারেও নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। তিনি বলছেন, ‘‘এই ডিটক্সও খেলেন, আবার ফ্যাটজাতীয় খাবারদাবারও খেলেন, তা হলে কোনও কাজ কিন্তু হবে না।’’