কিডনিতে পাথর জমলে জ্বরের সঙ্গে ঘন ঘন বমিও হতে পারে। ছবি- সংগৃহিত
জীবনযাপনে অনিয়ম, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, জল না খাওয়ার অভ্যাস— এ সব কিছুর প্রভাব পড়ে কিডনির উপর। সাধারণত কিডনির সমস্যা হচ্ছে কি না, তা বুঝতে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী জল খাওয়ার পরিমাণ ঠিক আছে কি না, তলপেটে কোনও ব্যথা হচ্ছে কি না, মূত্রত্যাগের সময়ে কোনও জ্বালা হচ্ছে কি না— এগুলির দিকেই খেয়াল রাখি আমরা।
তবে কিডনিতে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না বা অজান্তেই পাথর জমছে কি না, তা টের পেতে গেলে এটুকু সাবধানতাই যথেষ্ট নয়। চিকিৎসকদের মতে, কিডনিতে পাথর কোথায় রয়েছে, কতগুলি রয়েছে এ সবের উপরেও এই অসুখের লক্ষণ নির্ভর করে। যদি খুব ছোট আকারের অল্প কয়েকটি পাথর থাকে, তা হলে কোনও লক্ষণ না-ও বোঝা যেতে পারে। তবে সংখ্যায় বেশি হলে বা আকারে বড় হল অবশ্যই স্পষ্ট কিছু উপসর্গ থাকে।
কিডনিতে পাথর জমছে কি না, কী ভাবে বুঝবেন?
কিডনির সমস্যা এলে সকলের আগে প্রভাব পড়বে মূত্রে। রঙের বদল হলে খেয়াল রাখুন। লালচে বা বাদামি প্রস্রাব পাথর জমলেও হয়। অনেকের ক্ষেত্রেই সমস্যা জানান দেয় কোমরের ব্যথা দিয়ে। যদিও নানা কারণেই কোমর ও তলপেটে ব্যথা হতে পারে। তবে মূত্রত্যাগের সময়ে জ্বালা, রঙের বদল, আর এ সবের সঙ্গে কোমর ও তলপেটে ব্যথা থাকলে সচেতন হন। ঘুসঘুসে জ্বর ঘুরেফিরে আসাও কিন্তু এ ক্ষেত্রে ভাল লক্ষণ নয়। কিডনিতে পাথর জমলে জ্বরের সঙ্গে ঘন ঘন বমিও হতে পারে। প্রায়ই কি মূত্রথলি বা প্রস্রাবে সংক্রমণ হয়? তা হলে প্রথম থেকে সতর্ক হয়ে চিকিৎসা করান।
এ সব লক্ষণ দেখলে রেনাল স্টোন ও কিডনির যে কোনও জটিলতা বোঝার জন্য নির্দিষ্ট পরীক্ষাগুলি করিয়ে নিন ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy