সমাজমাধ্যমে চোখ রাখলেই সুস্থ থাকার নানা রকম ফিকির চোখে পড়ে। নেটপ্রভাবী পুষ্টিবিদ থেকে স্বাস্থ্যসচেতন তারকা— অনেকেই দিন শুরু করেন কালো কিশমিশ বা কালো কিশমিশ ভেজানো জল খেয়ে। পায়েস বা পোলাও রাঁধার সময়ে বাজার থেকে যে ধরনের কিশমিশ কেনেন, এগুলি কিন্তু ঠিক তেমন নয়। আসলে কিশমিশের রং কেমন হবে তা আঙুরের জাতের উপরেও খানিকটা নির্ভর করে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সাধারণ কিশমিশের চেয়ে কালো কিশমিশের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি।
বাজারে সাধারণত হালকা বাদামি রঙের কিশমিশই বেশি দেখা যায়। এই কিশমিশ তৈরি হয় সবুজ রঙের আঙুরকে রোদে শুকিয়ে কিংবা কারখানায় প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে শুকিয়ে। আর কালো কিশমিশ তৈরি করা হয় কালো বা গাঢ় বেগনি রঙের আঙুর শুকিয়ে।
কালো কিশমিশ খাওয়া কেন স্বাস্থ্যকর?
১) কালো কিশমিশে ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এতে আছে পলিফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো উপাদান, যা দেহের ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেসজনিত ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে কালো কিশমিশ।
২) কালো কিশমিশে আয়রনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে এই ফলটি। রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভুগছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য কালো কিশমিশ খাওয়া স্বাস্থ্যকর।
৩) কালো কিশমিশে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। হজমের সমস্যা কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে এই খাবারটি দারুণ পথ্য হতেই পারে। অন্ত্রের ভাল ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে কালো কিশমিশ।
৪) কিশমিশে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি। খালিপেটে ভেজানো কালো কিশমিশ খেলে শরীরে অ্যান্থোসায়ানিন যায় পূর্ণ মাত্রায়। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে উদ্বেগ কমায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্টের স্বাস্থ্যও থাকে ভাল।
৫) হাড়, দাঁতের জোর বাড়িয়ে তুলতে ক্যালশিয়াম গুরুত্বপূর্ণ। কালো কিশমিশে এই খনিজটি রয়েছে ভরপুর মাত্রায়। নিয়মিত এই ফলটি খেলে হাড় মজবুত হয়। অস্টিয়োপোরোসিসের সমস্যা প্রতিরোধ করতে আগে থেকে কালো কিশমিশ খাওয়া শুরু করা যেতে পারে।