—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। রোজই লাফিয়ে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এই পরিস্থিতিতে মশার নাম শুনলেই আঁতকে উঠছে মন। রোজ কানে আসছে পরিজনদের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর। কেবল শিশু কিংবা বয়স্করাই নন, মাঝবয়সিরাও প্রাণ হারাচ্ছেন এডিস ইজিপ্টাই মশার কামড়ে। সর্ব ক্ষণ মনে ভয় এই বুঝি ডেঙ্গি হল! অনেকেই আবার অভিযোগ করেন, অন্যদের তুলনায় তাঁদেরই নাকি বেশি মশা কামড়ায়। এই সময়ে তাঁদের মনে ভয় আরও বেড়ে যায়। কেন কাউকে বেশি মশা কামড়ায় বলুন তো?
১) ২০১৪ সালের একটি গবেষণা দেখা গিয়েছে, যাঁদের বেশি ঘাম হয়, তাঁদেরই বেশি মশা কামড়ায়। গবেষকদের মতে, ঘামের সঙ্গে নিঃসৃত ল্যাকটিক অ্যাসিড ও অ্যামোনিয়ার গন্ধ মশাদের বেশ প্রিয়। ঘামের সেই গন্ধের টানেই মশা বেশি কামড়ায়।
২) অন্তঃসত্ত্বাদের এই বিষয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। অন্তঃসত্ত্বাদেরও তুলনায় বেশি মশা কামড়ায়। ওই সময়ে নারীদেহে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। সে কারণেই তাঁদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় মশারা।
৩) আপনার রক্তের টানেও মশা বেশি কামড়াতে পারে। কিছু নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপের মানুষকেও মশা বেশি কামড়ায়। যেমন ‘ও’ গ্রুপের রক্ত। ‘ও পজিটিভ’ এবং ‘ও নেগেটিভ’ গ্রুপের রক্তে বিশেষ ধরনের গন্ধ থাকে, যা মশাকে বেশি আকৃষ্ট করে।
৪) পোশাকের রংও মশা কামড়ানোর অন্যতম কারণ। যেমন, গাঢ় কোনও রং কিংবা লাল-নীল রঙের পোশাক মশাদের বেশি পছন্দ। তাই গাঢ় পোশাক পরলে সাবধানে থাকতে হবে।
৫) শরীরের তাপমাত্রা যাঁদের একটু বেশি, যাঁরা বিয়ার জাতীয় অ্যালকোহল খান এবং শরীর থেকে বেশি ঘাম নির্গত হয়, তাঁদের প্রতিও মশা বেশি আকৃষ্ট হয়।
তবে সব গবেষণারই ব্যতিক্রম রয়েছে। তাই মশা বেশি কামড়াক বা কম, ডেঙ্গির মরসুমে সতর্ক থাকতে হবে সব সময়ে। তাই অসতর্ক হতে চলবে না। শরীর ঢাকা পোশাক পরতে হবে। শোয়ার সময়ে মশারি ব্যবহার করতেই হবে। বাড়ির আশপাশটা পরিষ্কার রাখতে হবে, কোথাও জল জমতে দেওয়া চলবে না। জ্বর, মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রক্তপরীক্ষা করাতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy