পেয়ারা কখন বিপজ্জনক? ছবি: সংগৃহীত।
বেশ কিছু দিন জ্বরে ভোগার পর মুখের রুচি ফেরাতে নুন-লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে পেয়ারামাখা খান অনেকেই। মুখের স্বাদ ফেরানো তো বটেই, তা ছাড়াও পেয়ারার বহুবিধ পুষ্টিগুণ রয়েছে। অনেকেরই পছন্দের ফলের তালিকায় পেয়ারার নাম বেশ উপরের দিকে। বড়দিনের ছুটিতে ময়দানে বসে রোদ পোহাতে পোহাতে পেয়ারামাখা খাওয়ার মজাই আলাদা। নানা রকম ভিটামিন, খনিজে ভরপুর এই ফল দাঁত, মাড়ির স্বাস্থ্যও ভাল রাখে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলেন, পেয়ারা সকলের জন্য ভাল নয়। অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
কোন কোন সমস্যা থাকলে বেশি পেয়ারা খাওয়া যায় না?
১) পেটের সমস্যায়
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পেয়ারা খেলে উপকার মেলে, কিন্তু অতিরিক্ত পেয়ারা খেলে পেটফাঁপা বা হজমের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। পেয়ারায় থাকা অতিরিক্ত ফ্রুক্টোজ় রক্ত শোষণ করতে না পারলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
২) কিডনির সমস্যা থাকলে
পেয়ারায় পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি। যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখলেও কিডনির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। কিডনিতে পাথর জমার সমস্যা থাকলেও পেয়ারা খেতে বারণ করা হয়। পেয়ারার মধ্যে অক্সালেট রয়েছে। যা কিডনিতে পাথর জমার সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
৩) ডায়াবিটিস থাকলে
এই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশির দিকে। তাই রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে পরিমিত পরিমাণে পেয়ারা খেলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
৪) সর্দিকাশিতে ভুগলে
পেয়ারায় জলের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তাই যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাঁদের জন্য পেয়ারা সমস্যার কারণ হতে পারে। তবে সকালে জলখাবার খাওয়ার পর পেয়ারা খেলে এই সমস্যা কিছুটা হলেও এড়ানো যায়। কিন্তু, দুপুর-বিকেলের পর পেয়ারা খাওয়া চলবে না।
৫) নতুন মায়েরা পেয়ারা না খেলেই ভাল
পেয়ারায় ফাইবারের পরিমাণ এত বেশি যে তা হজমের সমস্যা করে। পুষ্টিবিদেরা বলেন, খাবার ভাল করে হজম না হলে নতুন মায়েদের শরীরে স্তন্যদুগ্ধ উৎপাদনে সমস্যা হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy