Advertisement
E-Paper

লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি এড়াতে চান? চেনা ওষুধেই লুকিয়ে বিপদ, খাওয়ার আগেই সতর্ক হোন

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিজেদের কিছু বদ অভ্যাস ও ভুলের কারণেই শরীরে বাসা বাঁধে লিভারের অসুখ। শিশুদের ক্ষেত্রেও তাদের বাবা-মায়েরা যদি প্রথম থেকেই সচেতন হন, তা হলে জীবনশৈলীর উপর ছোটবেলা থেকেই নিয়ন্ত্রণ তৈরি হবে। বড়দেরও উচিত লিভার ভাল রাখার উপায়গুলি আয়ত্তে আনা। লিভার সুস্থ রাখতে কী কী করবেন?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:৩২
লিভার ভাল রাখতে চাইলে কোন ওষুধ থেকে সাবধানে থাকবেন?

লিভার ভাল রাখতে চাইলে কোন ওষুধ থেকে সাবধানে থাকবেন? ছবি: সংগৃহীত।

জীবনযাত্রায় অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শরীচর্চার দিকে খেয়াল না রাখা, অতিরিক্ত মদ্যপান— এগুলিই যদি আধুনিক জীবনের সঙ্গী হয়ে থাকে, তা হলে তার ফল অবশ্যই ফ্যাটি লিভার বা লিভার সিরোসিসের মতো মারণরোগ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিজেদের কিছু বদভ্যাস ও ভুলের কারণেই শরীরে বাসা বাঁধে লিভারের অসুখ। শিশুদের ক্ষেত্রেও তাদের বাবা-মায়েরা যদি প্রথম থেকেই সচেতন হন, তা হলে জীবনশৈলীর উপর ছোটবেলা থেকেই নিয়ন্ত্রণ তৈরি হবে। বড়দেরও উচিত লিভার ভাল রাখার উপায়গুলি আয়ত্তে আনা। লিভার সুস্থ রাখতে কী কী করবেন, পরামর্শ দিলেন চিকিৎস নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে লিভার ভাল রাখার ৫টি উপায় বলেছেন চিকিৎসক। নারায়ণ বলেন, ‘‘আমাদের দেশে বহু লোক লিভারের সমস্যার কারণে অসুস্থ হন, এই সমস্যার কারণেও প্রাণও চলে যায় অনেকের। রোজের জীবনে ৫টি কথা মাথায় রেখে চললেই ১ বছরের মধ্যেই লিভারের সমস্যা অনেকখানি কমতে পারে।’’

১) ওজন কমান: কেবল ফিট থাকতেই নয়, লিভার সুরক্ষিত রাখতে চাইলেও কিন্তু ওজন বাগে রাখা জরুরি। শরীরে কার্বহাইড্রেট-প্রোটিন-ফ্যাটের সঠিক ভারসাম্য থাকা একান্ত প্রয়োজন। বাড়ির খাবারের বদলে রেস্তরাঁর রেড মিট, বাইরের ভাজাভুজি, প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকা ট্রান্স ফ্যাট লিভারের অসুখের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বাড়ির খাবার খাওয়া অভ্যাস করতে হবে। লিভার ভাল রাখতে হলে ‘আদর্শ ওজন’ বজায় রাখা জরুরি। খুব সহজেই ‘আদর্শ ওজন’-এর হিসাব বার করা সম্ভব। উচ্চতার হিসাব সেন্টিমিটারে করে তার থেকে ১০০ বাদ দিলেই পেয়ে যাবেন উচ্চতা অনুযায়ী কোনও ব্যক্তির ‘আদর্শ ওজন’-এর পরিমাপ।

২) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন: লিভারের অসুখের ঝুঁকি কমাতে চাইলে ওজনের পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এইচবি১সি কখনওই ৬.৪ এর বেশি যেন না হয়, সে বিষয় সতর্ক থাকুন।

৩) হাঁটাহাঁটি করুন: ঘণ্টা পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে কাজ যাঁদের করতে হয়, তাঁদের কিন্তু সময় বার করে দিনে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি করতেই হবে। না হাঁটলে লিভার ভাল থাকবে না।

৪) টক্সিক ওষুধ থেকে দূরে থাকুন: সামান্য যন্ত্রণা হলেই মুড়ি-মুড়কির মতো ব্যথার ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। কিছু প্যারাসিটামল বা কোলেস্টেরলের ওষুধও লিভারের ক্ষতির কারণ হতে পারে। কোনও রকম টক্সিক ওষুধ খাওয়ার আগে সতর্ক হোন। চিকিৎসকের মতে, প্যারাসিটামল খুবই সাধারণ ওষুধ মনে হলেও লিভারের ক্ষতি করতে পারে। ডোজ়ের বাইরে গিয়ে এই ওষুধ ভুলেও খাওয়া উচিত নয়।

৫) মদ্যপান বন্ধ করুন: লিভারের ক্ষতি রুখতে হলে সবার আগে মদ্যপান বন্ধ করতে হবে। দেশি হোক বা বিদেশি, অ্যালকোহল যুক্ত যে কোনও রকম পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে।

liver diseases Liver Cancer
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy