অনেক ক্ষণ না খেয়ে থাকলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা হয়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও ভোগায়। তবে শুধু উপোস করে থাকলেই নয়, সময়ে খাবার খেলেও কিন্তু পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কখন খাচ্ছেন, সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কী খাচ্ছেন সেটা আরও বেশি জরুরি। দুধ খেলে ভাল থাকে শরীর। টক দইও অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু দুধের সঙ্গে যদি টক দই খান, তা হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এমনই কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার রয়েছে, যেগুলি আলাদা ভাবে খেলে যত উপকার পাওয়া যায়, একসঙ্গে খেলে মুশকিলে পড়তে হতে পারে।
মাংস এবং চিজ়
স্বাদে একে অপরকে টেক্কা দেয় এই দু’টি খাবার। তবে স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকে মাংস এগিয়ে। কিন্তু মাংস এবং চিজ় একসঙ্গে না খাওয়াই ভাল। চিজ়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। আর প্রক্রিয়াজাত মাংসে সোডিয়ামের পরিমাণ নেহাত কম নয়। দুটো জিনিস একসঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এমনকি, অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়।
দুধ এবং সাইট্রাস জাতীয় ফল
কমলালেবু, আঙুর হল সাইট্রাস জাতীয় ফল। এগুলিতে ভিটামিন সি-র পরিমাণ অনেক বেশি। তা প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আর দুধের স্বাস্থ্যগুণ সকলেরই জানা। কিন্তু অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর এই দু’টি খাবার একসঙ্গে খেলেই মুশকিল। টকজাতীয় ফলে থাকা অ্যাসিড দুধের সঙ্গে মিশে হজমের গোলমাল বাধায়। এমনকি, এই দু’টি খাবার খাওয়ার মধ্যে অন্তত কয়েক ঘণ্টার ফারাক থাকা জরুরি।
আয়রন এবং ক্যালশিয়াম
সুস্থ শরীরের জন্য আয়রন এবং ক্যালশিয়াম অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান। শরীরে কোনও একটির ঘাটতি তৈরি হলে সমস্যা দেখা দেয়। ব্রকোলি, পালং শাকের মতো কিছু সব্জিতে ভরপুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। অন্য দিকে, দুগ্ধজাত খাবারেও ক্যালশিয়াম রয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে এই দু’ধরনের খাবার একসঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়। শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।