দইয়ের সঙ্গে কিছু খাবার না খাওয়াই ভাল। ছবি: সংগৃহীত।
শেষপাতে টক দই খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। কনকনে শীত কিংবা ভরা বর্ষাতেও টক দই খাওয়ায় বিরতি দেন না। চিকিৎসকেরাও নিয়মিত টক দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মিনারেলস, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি১২-এ সমৃদ্ধ টক দই শরীরের যত্নে নিতে পারদর্শী। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এমনকি, ত্বকের দেখাশোনাতেও টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। নিয়ম করে টক দই খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করলে স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবনা-চিন্তা না করলেও চলে। রোজ দই খাচ্ছেন ভাল কথা, কিন্তু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি দইয়ের সঙ্গে না খাওয়াই শ্রেয়। তা হলে দইয়ের স্বাস্থ্যগুণ তো শরীর পাবেই না, এমনকি হিতে বিপরীত হতে পারে।
তেলেভাজা
আলুর পরোটা দইয়ের সঙ্গে মাখিয়ে খেতে মন্দ লাগে না। কিন্তু ডোবা তেলে ভাজা কোনও খাবার দইয়ের সঙ্গে খেতে বারণ করছেন চিকিৎসকেরা। তেল এবং দই একসঙ্গে মিশে হজমের গোলমাল হতে পারে। শারীরিক দুর্বলতাও দেখা দিতে পারে।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজের সঙ্গে টক দই খেলে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে। তার ফলে গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি তো থাকেই। সেই সঙ্গে ত্বকেও নানা প্রভাব পড়ে। র্যাশ, অ্যালার্জি, এগ্জ়িমার সমস্যাও হতে পারে।
দুধ
দুধ এবং দই দু’টিতেই প্রোটিন, ফ্যাট রয়েছে। ফলে দুধ, দই একসঙ্গে গেলে অম্বল হতে পারে। সেই সঙ্গে বুক জ্বালা, পেটে অস্বস্তির মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তবে দই, দুধ দু’টিই শরীরের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তবে আলাদা আলাদা করে খেলে বেশি উপকার মিলবে।
মাছ
মাছ হল প্রাণীজ প্রোটিন। দইয়ে যে প্রোটিন আছে, তা উদ্ভিদজাত। ফলে এই দুই ধরনের প্রোটিন একসঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। হজমের সমস্যা তো থাকেই। সেই সঙ্গে পেট ভার, পেট ফাঁপার মতো কিছু অসুবিধাও দেখা দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy