শরীরচর্চার উদ্দেশ্য যেমন সুস্থ থাকা, তেমনই সুগঠিত চেহারার স্বপ্নও লুকিয়ে থাকে জিমে যাওয়ার নেপথ্যে। উপযুক্ত ব্যায়াম, শারীরিক কসরত পেশিকে সবল করে, শরীর মজবুত রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:
কিন্তু ব্যায়াম এবং শরীরচর্চারও নিয়ম রয়েছে। অভ্যাসে ভুলভ্রান্তি সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে ভুল না করে কোনটির পর কোন ব্যায়াম করলে, শরীর সুগঠিত হবে, সেই কৌশল শিখিয়ে দিলেন সিদ্ধার্থ সিংহ। কঙ্গ্না রনৌত, তমন্না ভাটিয়া-সহ অনেক তারকার ফিটনেস গুরু বলছেন, শুরুটা করা দরকার শরীরের উপরের অংশ দিয়ে।
৪৫ মিনিটের শরীরচর্চায় কখন, কোন ব্যায়াম করবেন?
১। শরীরচর্চার শুরুটা হবে মাথা, কাঁধ, হাত, বুক এবং পিঠ থেকে। প্রথম ধাপে শরীরের উপরের দিকের অংশের ব্যায়াম জরুরি। শরীরচর্চার এই ধাপে পুশ আপ এবং ক্লোজ়ড গ্রিপ পুলডাউন বা দুই হাত কাছাকাছি এনে যন্ত্র ধরে হাত নামানোর মতো ব্যায়াম যুক্ত করা জরুরি। ৪ সেট পুশআপ করলে ২ সেট ক্লোজ়ড গ্রিপ পুলডাউন করতে হবে।
২। দ্বিতীয় ধাপে শরীরের নিম্নাংশের সামনে এবং পিছনের দুই দিকের পেশি সবল করতেই ব্যায়াম জরুরি। এই অংশের ব্যায়ামে রাখতেই হবে গবলেট স্কোয়াট (কেটল বেল নিয়ে বসা-ওঠা) এবং ডাম্বল ডেড লিফট (ডাম্বল নিয়ে বসা-ওঠার ব্যায়াম)। এতে নিতম্বের পেশি, পায়ের ব্যায়াম হয়।
৩। তৃতীয় ধাপে থাকবে কোর পেশির ব্যায়াম। কোর মাসলের মধ্যে পড়ে পেট, নিতম্ব, পেলভিসের অংশ।এই ধরনের শরীরচর্চার সময় ঝুলন্ত অবস্থায় হাঁটু ভাঁজ করতে হবে আবার পূর্বের অবস্থানে ফিরতে হবে। একই সঙ্গে করতে হবে লেগ প্রেস, পা দিয়ে যন্ত্র ঠেলে এটি করা হয়।
৪। শেষ ধাপে জুড়ে নিন কার্ডিয়ো। এটি হার্ট ভাল রাখতে করা হয়। এই ব্যায়ামে হৃৎস্পন্দনের গতি বৃদ্ধি পায়। তবে কোর অংশের ব্যায়াম করার পরে কিছু ক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে কার্ডিয়ো করা ভাল।
ফিটনেস প্রশিক্ষক সিদ্ধার্থ সিংহের কথায়, চার ধাপে শরীরচর্চা করলে দেহের প্রতিটি অংশেরই ব্যায়াম হবে। ৪৫ মিনিট সময় দিলেই তা সঠিক ভাবে করা যাবে।