বয়স বাড়লে তার ছাপ পড়বে চোখে-মুখে, এ তো স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু তা কি আটকানো যায়? পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকেরা বলেন, বয়স আটকানো না গেলেও, সঠিক পুষ্টির গুণে শরীরকে তরতাজা রাখা যায়। কিছু দিনের জন্য হলেও ঠেকানো যায় বার্ধক্যকে।
বি-টাউনের নায়িকাদের দেখলে যেমন বয়স বোঝা যায় না, তেমনটাই হতে পারে আপনার সঙ্গেও। সঠিক খাদাভ্যাস, পানীয় এবং শরীরচর্চার গুণে চল্লিশেও দেখাতে পারে ৩০-এর মতো। বয়সের কাঁটাকে ধরে রাখতে চুমুক দিন বিশেষ পানীয়ে।
গ্রিন টি: সাধারণ চায়ের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মেলে এতে। গ্রিন টিতে রয়েছে পলিফেনল, ইজিসিজি, যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালসের সঙ্গে লড়ে প্রদাহ কমাতে, শরীর ভাল রাখতে, তারুণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা ইজিসিজি নামে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে, বিপাকহার বৃদ্ধিতেও পানীয়টি সাহায্য করে। দিনে দু’কাপই অবশ্য যথেষ্ট।
ব্রথ: মুরগির ব্রথও শরীরের জন্য উপকারী। হাড়ের মধ্যেকার পুষ্টি উপাদান এতে মিশে থাকে। মুরগির হাড়ের মাংস জলে ফুটিয়ে ব্রথ বানানো হয়। শীতের দিনে দু’বেলা এক কাপ করে ব্রথ খেলেও শরীর চনমনে থাকবে। এতে মেলে অ্যামোইনো অ্যাসিড, যা ত্বক টানটান রাখতে সাহায্যকারী কোলাজেনের উৎপাদন ঠিক রাখে। ক্যালশিয়াম, জ়িঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস শরীর ভাল রাখে। ফল স্বরূপ, টানটান সুন্দর, জেল্লাদার ত্বক মেলে।
ডাবের জল: শীতের দিনে শুধু উষ্ণ পানীয় খেলেই চলবে না। ডাবের জল পেট ঠান্ডা রাখে। ডাবে রয়েছে নানা রকম খনিজ। ডাবের জল শরীরে শুধু ইলকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে না, শরীরে জলের চাহিদাও পূরণ করে। ইলেকট্রোলাইট ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, ফলে ত্বক সতেজ ও নরম থাকে। শীতে রুক্ষ ত্বকের নেপথ্যে থাকে জলের অভাব। পর্যাপ্ত জল না খেলে তার প্রভাব ত্বকেও পড়ে। ডাবে থাকা পুষ্টি উপাদান প্রয়োজনীয় খনিজের জোগান দেওয়ার পাশাপাশি ত্বককে উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে।