Advertisement
E-Paper

মুখ ও গলার ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে ভারতীয় পুরুষদের! জীবনযাত্রার বদলেই আছে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি

মুখ ও গলার ক্যানসারের ব্যাপারে কী কী লক্ষণ দেখলে সতর্ক হতে হবে? ক্যানসার গোড়ায় ধরা পড়লে তার নিরাময়ের চেষ্টা সম্ভব। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা ধরা পড়ে অনেক দেরিতে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৪ ১৯:০৬
Head and neck cancers are the second most common cancer in Indian men

কী কী লক্ষণ দেখলেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।

মুখ ও গলার ক্যানসার উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে। কয়েকটি রাজ্যে এর প্রকোপ বেশি। ফরিদাবাদের অমৃতা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, তামাকজাত নানা দ্রব্য, যেমন সিগারেট বা বিড়ি, গুটখা, জর্দা, খৈনি থেকে বাড়ছে মুখ ও গলার ক্যানসারের ঝুঁকি। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশে এর প্রকোপ বেড়েছে।

মুখ ও গলার ক্যানসারের মধ্যে প্রধানত মুখগহ্বর, গলা, নাক, ঘাড়, জিভ, গলার গ্রন্থির ক্যানসার পড়ে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হল তামাকজাত দ্রব্যের অত্যধিক সেবন। কেবল সিগারেটেই সাত হাজার রকম রাসায়নিক আছে। যার মধ্যে ৭২টি ক্যানসারের জন্য দায়ী। মুখ ও গলা-ঘাড়ের ক্যানসারে আক্রান্তদের একটা বড় অংশের বয়স ৪০ থেকে ৬০। ১৮-২৫ বছরের ছেলেমেয়েদেরও এই রোগ হচ্ছে।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ক্যানসারের লক্ষণ ধরা পড়ে দেরিতে। যদি গলায় ব্যথাহীন মাংসপিণ্ড হয়, তা হলে সতর্ক হতে হবে। খাবার খেতে সমস্যা, ঢোক গিলতে কষ্ট, ঘন ঘন কাশি এবং কাশির সঙ্গে রক্ত বার হতে পারে। নাক, কান, মুখ, গলা— শরীরের যে কোনও অঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে। মলদ্বার থেকেও অস্বাভাবিক রক্তপাত হতে পারে। কোনও ঘা বা ক্ষত, তা শরীরের যেখানেই হোক, মুখে হলে আরও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। যদি অনেক দিন ধরে তা না সারে, তার পিছনে ক্যানসারের ভূমিকা থাকতে পারে। এই ক্যানসারের অনেকগুলি পর্যায় আছে। শুরুটা হয়তো জিভে বা গলায় হল, ধীরে ধীরে লসিকা গ্রন্থিগুলিতে ছড়িয়ে পড়বে, তার পর ফুসফুস অবধি ছড়াবে ক্যানসার। যত দেরি করে ক্যানসার ধরা পড়বে, ততই সম্ভাবনা কমবে নিরাময়ের।

প্রথম দিকে ধরা পড়ার পর চিকিৎসা করালে তা সারতে পারে। তবে চিকিৎসা মানে কিন্তু শুধু অস্ত্রোপচারটুকুই নয়। তার সঙ্গে রেডিয়েশন, কেমোথেরাপিও জরুরি। চিকিৎসার পরে প্রথম দু’বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ক্যানসার আবারও ফিরে আসতে পারে। এই সময়টা খুব সংবেদনশীল। বার বার পরীক্ষা করানো জরুরি। ক্যানসার নিরাময় হলেও বা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বছর পাঁচেক পরীক্ষা করিয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গেই জীবনযাপনে সংযম আনা জরুরি। তামাকজাত যে কোনও দ্রব্য বর্জন করতে হবে। এমনকি, মুখে দীর্ঘ সময় সুপারি বা পানমশলা রাখতেও বারণ করছেন চিকিৎসকেরা।

oral health Cancer Fight cancer awareness
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy