আপেল, কলা, বেদানা, পেয়ারা, কমলালেবুর পাশাপাশি ফলের বাজারে এখন চোখে পড়ে ব্লু বেরিও। গত দশ বছর আগেও কলকাতায় এর নাম অনেকেই জানতেন না। ফলে ডায়েটে তা যোগ করার প্রশ্নই ছিল না। কিন্তু এখন স্বাস্থ্যসচেতন মানুষজন তাঁদের খাবারে রাখছেন বেরি জাতীয় ফল। তাদের মধ্যে একটি ব্লু বেরি। নীলরঙা ছোট্ট ফলটি আপনিও রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়। তবে জেনে নিন কেন খাবেন?
টক-মিষ্টি স্বাদের ফলটি এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই পাওয়া যায়। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর ফলটিকে কেউ কেউ ‘সুপার ফুড’-ও বলছেন।
ওজন ঝরাতে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে এবং সামগ্রিক ভাবে শরীর ভাল রাখতে কয়েকটি ছোট্ট ফলই যথেষ্ট।
ফাইবার: ব্লু বেরিতে ক্যালোরির পরিমাণ কম, অথচ ফলটি ফাইবারে পরিপূর্ণ। এই জাতীয় ফল খেলে চট করে পেট ভরে যায়, অথচ ক্যালোরি সে ভাবে শরীরে যায় না। যা ওজন কমানোর জন্য জরুরি। এ ছাড়া, ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভাবে সহায়ক ।
আরও পড়ুন:
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: ব্লু বেরিতে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন। এই উপাদানটি ফলের নীল রঙের কারণ। একই ভাবে অ্যান্থোসায়ানিন ইনসুলিন নামক হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট: শরীর ভাল রাখার জন্য, ত্বক, চুলের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট খুব জরুরি। ফাইবার, অ্যান্টঅক্সিড্যান্টস হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা পরোক্ষে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: ব্লু বেরিতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং কে। এতে রয়েছে ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাসের মতো খনিজ। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই সমস্ত খনিজও শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
ত্বকের জন্য ভাল: এতে রয়েছে ভিটামিন সি, বি৬, একই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ত্বক ভাল রাখতে ভিটামিন সি বিশেষ ভাবে কার্যকর। বার্ধক্য প্রতিরোধে জরুরি হল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। ব্লু বেরিতে অন্য অনেক ফলের চেয়ে এটি বেশি মাত্রায় থাকে।
ফলটি এমনি যেমন খেতে পারেন, তেমনই স্মুদি বা ওট্সের সঙ্গেও খাওয়া যায়। ফলটি কেটে জলে মিশিয়ে সেই জলও খেতে পারেন।