শরীর সুস্থ রাখার দাওয়াই কোনটি? ছবি:সংগৃহীত।
শরীরের খেয়াল রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই সেই জন্য বেশি করে শাকসব্জি, ফলমূল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রায় সব শাকসব্জিই শরীরের জন্য উপকারী। তবে সেই তালিকায় খানিকটা এগিয়ে আছে পেঁপে। কাঁচা কিংবা পাকা— যে কোনও অবস্থাতেই পেঁপে খাওয়ার বেশ কিছু সুফল রয়েছে। পেঁপে খাওয়ার সময়ে বীজগুলি ফেলে দেওয়াই দস্তুর। তবে অনেকেই জানেন না যে, পেঁপের বীজের রয়েছে বহু গুণ। তাই বীজ ফেলে দেওয়ার কোনও মানে নেই। কিন্তু তার আগে জানতে হবে পেঁপের বীজের উপকারিতাগুলি কী?
সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়
পেঁপের বীজে রয়েছে প্রোটিওলাইটিক উৎসেচক, যা দেহে বাসা বাঁধা নানা ক্ষতিকর জীবাণুকে নাশ করে। দেহে প্রোটিন বিপাকে সাহায্য করে। পাশাপাশি, ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ থেকেও শরীরকে রক্ষা করে এই বীজ।
ডেঙ্গি প্রতিরোধে
বর্ষা হল ডেঙ্গির মরসুম। এই রোগ প্রতিরোধে পেঁপের বীজের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হলেই অণুচক্রিকা কমতে শুরু করে। এই সময়ে নিয়মিত পেঁপের বীজ এবং পেঁপে পাতা খেলে অণুচক্রিকা আবার স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরে আসে।
ঋতুস্রাবের ব্যথা কমাতে
ঋতুস্রাবের সময়ে অনেকেই অসহ্য যন্ত্রণায় কাবু হয়ে পড়েন। ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই নানা ওষুধের উপর ভরসা রাখেন। ঋতুস্রাব চলাকালীন পেঁপের বীজের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। ব্যথা অনেক কম হবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে
পেঁপের বীজের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে পরিপাকক্রিয়া ভাল থাকে। হজমের সমস্যা থাকলে এই ঘরোয়া উপায়ে তা দূর করতেই পারেন। হজমশক্তি ভাল হলেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। হজমের গোলমাল যাঁদের আছে, এই ঘরোয়া টোটকায় ভরসা রাখলে সুস্থ থাকা সম্ভব।
প্রদাহ কমাতে
সাধারণত পেঁপের বীজ প্রদাহ কমাতে কার্যকর। পেঁপের বীজ ভিটামিন সি, অ্যালকালয়েড এবং ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ। এই সব উপাদান আর্থ্রাইটিস বা প্রদাহের মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
কী ভাবে খাবেন?
পেঁপে খাওয়ার আগে বীজগুলি ফেলে না দিয়ে সেগুলি একটা পাত্রে সংগ্রহ করে রোদে শুকিয়ে নিন। এ বার সেই বীজগুলি গুঁড়ো করে একটি কাচের পাত্রে ভরে রাখুন। এই বীজের স্বাদ তেতো হয়। যে কোনও স্যালাড কিংবা স্মুদি বানানোর সময়ে এই গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন, পুষ্টিগুণ পাবেন আর তেতোও লাগবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy