এই চাঁদি ফাটা গরম তো এই বৃষ্টি, হঠাৎ গুমোট ভাব তার পরেই ভ্যাপসা গরম। গ্রীষ্মে এই ঘন ঘন আবহাওয়ার বদল থেকে বাড়ে অসুস্থতাও। বিশেষ করে রোদে দীর্ঘ ক্ষণ বাইরে থাকতে হলে শরীরে তার প্রভাব পড়বেই। গরমে কোন কোন বিষয়ে সতর্ক হবেন? জেনে নিন।
১। প্রচণ্ড গরমে ক্লান্তি
বেশি ঘাম, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, গা গুলনো, মাথায় যন্ত্রণা এই ধরনের উপসর্গ দেখলে সতর্ক হোন। কারণ এই ধরনের উপসর্গই হিটস্ট্রোক ঘটাতে পারে। তাই এমন হলে ছায়ায় যান। জল খান। পারলে কোথাও বসুন।
২। হিটস্ট্রোক
হিট স্ট্রোক হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। হিটস্ট্রেক হলে মাথা ঠিক করে কাজ করবে না। নাড়ির স্পন্দন বাড়বে। কেউ কেউ অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন।
৩। জলাভাব
অতিরিক্ত ঘাম হলে আর ঠিকমতো জল না খাওয়া হলে ডিহাইড্রেশন বা শরীরে আর্দ্রতা নষ্ট হতে পারে। ঠোঁট বা জিভ শুকিয়ে গেলে, ক্লান্তিবোধ হলে বা মাথাঘুরলে বুঝতে হবে ডিহাইড্রেশন হয়েছে। প্রস্রাবের রংও গাঢ় হতে পারে সে ক্ষেত্রে।
৪। ত্বক জলে যাওয়া
দীর্ঘ ক্ষণ বাইরে রোদে থাকলে এবং ছাতা ব্যবহার না করলে সরাসরি ত্বকে রোদ লেগে ত্বক জলে যেতে পারে। এতে ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। ত্বকের রং লালচে হয়ে গেলে এবং সেখানে ব্যথা হলে কিংবা ফোস্কা পড়লে বুঝতে হবে সেটি সান বার্ন বা রোদে ত্বক জ্বলে যাওয়ার সমস্যা।
৫। অ্যালার্জি এবং শ্বাসকষ্ট
গরমে বাতালে পোলেনের মাত্রা বেড়ে যায়। যা থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাস্থমার সমস্যা বাড়তে পারে। এর ফলে চোখ চুলকানো, হাঁচি, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হতে পারে।
৬। চোখের ক্ষতি
সূর্যের অতি বেগনি রশ্মি চোখের ক্ষতি করতে পারে। যা থেকে পরবর্তী কালে ক্যাটার্যাক্ট বা ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের সমস্যা বাড়তে পারে। চোখে ব্যথা, কিছু সময়ের জন্য দেখার অসুবিধা হলে সতর্ক হোন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৭। খাবারে ব্যাকটিরিয়া
উষ্ণ আবহাওয়ায় খাবারে ব্যাকটিরিয়া জন্মায় দ্রুত। তাই গরমে খাবার বুঝে খান। দীর্ঘ ক্ষণ ফেলে রাখা খাবার না খাওয়াই ভাল।