গ্যাস-অম্বলে কাবু বাঙালি। ঘরে অ্যান্টাসিড মজুত থাকেই। তেলমশলা দেওয়া খাবার খেলেই গলা-বুক জ্বালা। চোঁয়া ঢেকুর। বড়দিনে ভূরিভোজের পরিকল্পনা থাকলে সকাল সকাল একটি যোগাসন অভ্যাস করে নিন। অ্যান্টাসিডের থেকে বহু গুণে কার্যকরী ও হজমে সহায়ক এই আসন। পদ্ধতি সহজ। চেয়ারে বসেই করা যায় আসনটি। নিয়মিত অভ্যাস করলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা নির্মূল হবে। আসনটির নাম উপবিষ্ট পবনমুক্তাসন। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা থাকলে আসনটি নিয়মিত অভ্যাসে সুফল পেতে পারেন।
কী ভাবে করবেন?
১) চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। দুই পায়ের পাতা মাটিতে থাকবে। দুই হাত থাকবে কোলের উপরে।
২) ঘাড়, পিঠ ও মাথা সোজা থাকবে। চেয়ারে হেলান দিলে হবে না।
৩) এ বারে ডান পায়ের হাঁটু ভাঁজ করে ঊরু বুকের কাছে আনার চেষ্টা করুন। দুই হাত দিয়ে ভাঁজ করা পা হাঁটুর ঠিক নীচ থেকে চেপে যতটা সম্ভব বুকে ঠেকানোর চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন:
৩) শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে মাথা হাঁটুর কাছে আনতে হবে। এই অবস্থানে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার চেষ্টা করুন।
৪) শ্বাস নিতে নিতে দুই হাত ছেড়ে দিয়ে ঘাড় পিঠ সোজা করে ডান হাঁটু নীচে নামান।
৫) এ বারে একই পদ্ধতিতে বাম হাঁটু বুকের কাছে এনে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে মাথা হাঁটুর কাছে আনুন।
৬) প্রতিটি পায়ে ২০ সেকেন্ড করে পাঁচ সেটে আসনটি অভ্যাস করতে হবে।
উপকারিতা:
আসনটি নিয়মিত অভ্যাসে হজমশক্তি ভাল হবে।
গ্যাস-অম্বলের সমস্যা নির্মূল হবে।
অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা থাকলে আসনটি অভ্যাসে কষ্ট কমবে।
ঋতুস্রাব অনিয়মিত হলে আসনটি অভ্যাসে সুফল পেতে পারেন।
পেটের মেদ কমবে, অতিরিক্ত ওজন ঝরবে।
পিঠ-কোমরের ব্যথা থাকলে তা কমে যাবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে আসবে।
কারা করবেন না?
হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হলে এই আসন করবেন না।
হার্নিয়ার সমস্যা থাকলে আসনটি করা যাবে না।