অনেক সময় দুপুরের খাবার খেতে খেতে সেই বিকাল পেরিয়ে যায় যা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। —প্রতীকী ছবি।
সুস্থ থাকার শেষ কথা শুধু ডায়েট আর শরীরচর্চা নয়। সারা দিন কয়েকটি বিষয়ের উপর নজর দেওয়া জরুরি। অনেকেই সকাল এবং রাতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলেন। দীর্ঘ দিন সুস্থ থাকতে সেটাই যথেষ্ট নয়। বরং নিজেকে ফিট রাখতে দুপুরেও কিছু অভ্যাস বদলানো জরুরি। দুপুরের সময়টা অনেকেরই অফিসেই কাটে। ফলে কাজের ফাঁকে নিজের যত্ন নেওয়ার সময় থাকে না ঠিকই। কিন্তু আলাদা করে যে সময় বার করতে হবে, বিষয়টি তেমনও নয়। দুপুরে কিছু নিয়ম যদি মেনে চলা যায়, তা হলে ফিট থাকা সহজ হবে।
সময় নিয়ে খাওয়া
সকালে অফিসে আসার আগে তাহাহুড়ো থাকলেও চিন্তা থাকে না। ফলে জলখাবারে যাই থাক, শান্ত হয়ে বসে খাওয়া যায়। আবার অফিস থেকে রাতে বাড়ি ফিরেও ধীরেসুস্থে খাওয়া যায়। কিন্তু অফিসে থাকলে দুপুরের খাবার নাকেমুখে গুঁজতে হয়। অনেক সময় দুপুরের খাবার খেতে খেতে সেই বিকাল পেরিয়ে যায়। এই অভ্যাস একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। সকাল এবং রাতের মতো দুপুরে খাবারও ঘড়ি ধরে খাওয়া জরুরি।
হাঁটাচলা করা
শুধু সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম কিংবা হাঁটহাঁটি করলে চলবে না। দুপুরেও খাবার খাওয়ার পর একটু হাঁটাহাঁটি করা জরুরি। দুপুরে সাধারণত ভারী খাবারই খাওয়া হয়। ভাত কিংবা রুটি, দুপুরের খাবারে যাই থাক খাওয়ার পরে পাঁচ মিনিটের জন্য হলেও হাঁটা জরুরি।
ঘুম
অফিসে বসে ঘুমোচ্ছেন, এ দৃশ্য বিরল। কিন্তু সুস্থ থাকতে নিজের জন্য এটুকু করা জরুরি। তার মানে এই নয় যে, কাজ ফেলে রেখে দীর্ঘ ক্ষণ ঘুমোতে হবে। মাথায় চিন্তা থাকলে ঘুম আসেও না। ল্যাপটপ বন্ধ করে মাথা নিচু করে কিছু ক্ষণ বসতে পারেন। দরকার হলে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে অ্যালার্ম দিয়ে রাখতে পারেন। কিছু ক্ষণ একটু ঘুমিয়ে নিলে মন এবং মস্তিষ্ক দু’টোই শান্ত হবে। শরীরও ভাল থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy