Advertisement
E-Paper

Heart Disease Treatment: হার্ট অ্যাটাকের পর কোনও গাফিলতি নয়! ডায়েটে কী রাখলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন

আপনার বাড়িতে যদি সদ্য কারও হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে, তা হলে কী করে নেবেন তাঁর যত্ন? কী-ই বা রাখবেন তাঁর ডায়েটে?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২২ ১৫:০৯
উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিসের মতো রোগও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিসের মতো রোগও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে এখন আর বয়স কোনও বড় বিষয় নয়। গত ২০ বছরে ৪০ বছরের নীচে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। ২০০৬ থেকে ২০১৬ বছরের মধ্যে মধ্যবয়সি ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা প্রতি বছর ২ শতাংশ হারে বেড়েছে। আধুনিক জীবনযাপন, মাঝেমাঝেই রেস্তরাঁর খাবার খাওয়া, অত্যধিক রাত করে ঘুমানো, শরীরচর্চায় অনীহা, স্থূলতা, মানসিক চাপ ইত্যাদি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ। তা ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিসের মতো রোগও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই হৃদ‌্‌রোগ এড়াতে সবার আগে জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে হবে।

তবে আপনার বাড়িতে যদি সদ্য কারও হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে, তা হলে কী করে নেবেন তাঁর যত্ন?

১) পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদ্‌রোগের অন্যতম বড় অনুঘটক। শরীর সুস্থ রাখতে দৈনিক সাত থেকে ন’ ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। সচেতন ভাবে উপলব্ধি করতে না পারলেও প্রাত্যহিক ক্লান্তি কাটিয়ে শরীর সতেজ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই।

২) মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস থাকলে এখনই সেই অভ্যাস বদলাতে হবে। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর অন্তত দু’ থেকে তিন মাস মদ্যপান ও ধূমপান না করাই শ্রেয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

৩) শরীরচর্চার অভ্যাস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া তা শুরু করা উচিত নয়। ধীরে ধীরে হাঁটা শুরু করতে হবে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গতি বাড়াতে হবে। যে ব্যায়ামগুলি রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে চিকিৎসকের পরামর্শে সেগুলি শুরু করতে হবে।

৪) সুস্থ জীবনে ফিরতে ডায়েটের উপর কড়া নজর রাখতে হবে। ডায়েটে যেন ট্রান্স ফ্যাট, সোডিয়াম, চিনির পরিমাণ কম থাকে সে দিকে লক্ষ রাখুন। উদ্ভিজ্জ-প্রোটিন, ফাইবার, চর্বিহীন প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বেশি পরিমাণে খেতে হবে।

৫) খাদ্যতালিকায় ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার বেশি মাত্রায় রাখতে হবে। হৃদ্‌যন্ত্র সুস্থ রাখতে এই ফ্যাটি অ্যাসিড ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সামুদ্রিক মাছ স্যালমন, ম্যাকরেলে ভাল মাত্রায় ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যাঁরা নিরামিষাশী তাঁদের ডায়েটে বাদাম, দানাশস্য, বিভিন্ন প্রকার ডাল রাখতে হবে।

৬) এ ছাড়াও ডায়েটে বিভিন্ন ধরনের ফল, দুগ্ধজাত খাবার, ডিম রাখা যেতে পারে।

Heart Care Tips Heart care Heart Attack
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy