আপেলের অনুষঙ্গে লাল রংই সাধারণত মাথায় আসে। কিন্তু এখন লালকে টক্কর দিতে বাজার ছেয়ে গিয়েছে সবুজ আপেলে। আগে যে সবুজ আপেল কেবল দেশের হাতেগোনা কয়েকটি জায়গায় (মূলত হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড) মিলত, এখন তা আপনার পাড়ার বাজারেও পাওয়া যেতে পারে। রং বেছে আপেল খাওয়ার অভ্যাসও তৈরি হয়েছে। তখনই প্রশ্ন ওঠে, কোন রঙের আপেল বেশি উপকারী?
রং নির্বিশেষে আপেল স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। পেকটিন নামক দ্রবণীয় ফাইবারের উপস্থিতির কারণে আপেল সহজপাচ্য। কারণ, অন্ত্রের উপকারী ব্যাক্টেরিয়াকে পুষ্টির জোগান দিতে পারে পেকটিন। আপেল ফাইবার এবং জলে পূর্ণ। ১৮২ গ্রামের একটি আপেলে ৪.৩৭ গ্রামের ফাইবার থাকে। একটি গোটা আপেল চিবিয়ে খেলে পেট দীর্ঘ ক্ষণ ভর্তি থাকে। বার বার খিদে পাওয়ার সমস্যা দেখা দেয় না। আর তাই ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আপেলে প্রদাহনাশী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে লাল আপেল সবুজের তুলনায় একটু বেশি মিষ্টি স্বাদের। কিন্তু দুই রঙের আপেলের মধ্যে তুলনা করলে কোনটি জিতবে?
কোন আপেলে পুষ্টিগুণ বেশি? ছবি: সংগৃহীত।
সবুজ আপেল বনাম লাল আপেল
তুলনামূলক আলোচনায় নামলে আতসকাচের নীচে আসবে পুষ্টিগুণ। ভিটামিন এ, বি, সি, ই, কে-র উৎস হিসেবে সবুজ আপেলের পাল্লা ভারী। উপরন্তু আয়রন, পটাশিয়াম এবং প্রোটিনের পরিমাণও সবুজ আপেলে বেশি। এতে পাকৃতিক শর্করা এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম। ফলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্যও সবুজের কদরই বেশি। তাই নির্দ্বিধায় লালের তুলনায় সবুজ আপেলকে বেশি পুষ্টিকর বলা যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
তবে এর মানে যে লাল পরাজিত, তা-ও নয়। লাল আপেলেরও ঢের উপকারিতা রয়েছে। আপেলের যা যা উপকারিতার কথা আলোচনা করা হল, তার সবই লাল আপেলে উপস্থিত। তবে পুষ্টিগুণের মাত্রার নিরিখে সবুজ একটু হলেও এগিয়ে রয়েছে।