Advertisement
E-Paper

সিস্ট না কি টিউমার, বিপজ্জনক না নিরীহ, দেহের ফোলা অংশ কী দেখে শনাক্ত করবেন

টিউমার না কি সিস্ট, কোন স্ফীতি আসলে কী, কারণই বা কী, সে সম্পর্কে যথাসম্ভব অবগত হওয়া উচিত। গঠন, বৃদ্ধির হার, উপসর্গ, ইত্যাদি বিবেচনা করে শনাক্ত করা যায় কোটি কী।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ১২:১৪
সিস্ট ও টিউমারের পার্থক্য কী?

সিস্ট ও টিউমারের পার্থক্য কী? ছবি: সংগৃহীত।

টিউমার না কি সিস্ট, খালি চোখে সাধারণ মানুষের পক্ষে তা নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না সব সময়ে। শরীরের কোনও অংশকে হঠাৎ ফুলে উঠতে দেখলে ক্যানসারের আতঙ্কে ভুগতে থাকেন অনেকে, কেউ আবার বিষয়টিকে আমল দেন না। কেউ আবার সিস্টকে টিউমার ভাবেন, টিউমারকে সিস্ট। কিন্তু কোন স্ফীতি আসলে কী, তার কারণই বা কী, সে সম্পর্কে যথাসম্ভব অবগত থাকা উচিত। নিজের মানসিক শান্তির পাশাপাশি সতর্কতা অবলম্বন করতেও সুবিধা হবে। ত্বক থেকে শুরু করে শরীরের ভিতরের নানা অঙ্গে, স্ফীতি যে কোনও জায়গায় হতে পারে। এমনকি হাড়ও ফুলে উঠতে পারে। কিন্তু সমস্ত ফোলা অংশই ঝুঁকিপূর্ণ নয়। আর এখানেই সিস্ট এবং টিউমারের পার্থক্য বুঝতে হবে। জানতে হবে তাদের প্রকৃতি। গঠন, বৃদ্ধির হার, উপসর্গ, ইত্যাদি বিবেচনা করে শনাক্ত করা যায় কোনটি কী।

সিস্ট

সিস্ট আসলে এক ধরনের থলি, যেটি তরলে ভর্তি। সিস্ট সাধারণত ত্বকের নীচে তৈরি হয়। ডিম্বাশয়, স্তন বা শরীরের একাধিক অংশে সিস্টের জন্ম হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যথা থাকে না। কখনও সংক্রমণ হলে ফুলে যেতে বা ব্যথা হতে পারে। কিন্তু সাধারণত অস্ত্রোপচার বা ওষুধে সহজেই সেরে যায়। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে সিস্টের ভিতরে ম্যালিগন্যান্ট কোষ তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কা থাকে।

কোন স্ফীতি কোন প্রকৃতির, কী ভাবে বুঝবেন?

কোন স্ফীতি কোন প্রকৃতির, কী ভাবে বুঝবেন? ছবি: সংগৃহীত।

টিউমার

কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে টিউমার তৈরি হয়। এটি দু’রকম হতে পারে— বিনাইন টিউমার (ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে না) এবং ম্যালিগন্যান্ট টিউমার (ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে)। বিনাইন ধীরে বাড়ে, শরীরের অন্য অংশে ছড়ায় না। ম্যালিগন্যান্ট দ্রুত বাড়ে ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।

কোন স্ফীতি কোন প্রকৃতির?

ক্যানসার চিকিৎসক সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘শরীরের বাইরে কোনও অংশ হঠাৎ ফুলে উঠতে দেখা গেলে অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। সেগুলি সিস্ট না কি টিউমার, আবার টিউমার হলে বিনাইন না কি ম্যালিগন্যান্ট, সে সব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সিস্ট আর টিউমার শনাক্ত করার মূল হাতিয়ার হল, হাত দিয়ে দেখা। যদি দেখা যায়, স্ফীতির একটি অংশে চাপ দিলে, সেটি উল্টো দিকে অল্প সরে যাচ্ছে, তা হলে সেটি সিস্ট। কিন্তু টিউমার নড়েচড়ে না। শক্ত হয়ে আটকে থাকে। আবার সব টিউমারই ক্যানসার নয়। যদি দেখা যায়, টিউমার দ্রুত বাড়ছে, বা উপরে ঘা হয়েছে, অথবা রক্তপাত হচ্ছে, তা হলে সেগুলি সাধারণত ম্যালিগন্যান্ট হয়। কিন্তু ব্যথা থেকে স্পষ্ট বোঝা সম্ভব নয়। কিন্তু আমি রোগীদের সব সময়ে বলি, শরীরের কোনও অংশ ফুলে উঠলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, বায়োপসি ছাড়া সঠিক শনাক্তকরণ সম্ভব নয় কখনও।’’ শরীরের ভিতরে সিস্ট বা টিউমার হলে তা কিছু উপসর্গ দিয়ে বোঝা যাবে, অথবা কোনও পরীক্ষা করানোর পর ধরা পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রেও বায়োপসি করানো হয়।

স্ফীতি দেখলেই ভয় পাওয়ার কারণ নেই। তবে অবহেলা করাও ঠিক নয়। সময়মতো পরীক্ষা করালে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সমস্যা ধরা পড়ে ও সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

Cyst Tumour Cancer Risk
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy