শিঙাড়া খেতে ভালবাসেন অথচ স্বাস্থ্যের কথা ভেবে খেতে পারেন না, এমন মানুষ অগুনতি। কেউ বলবেন, শিঙাড়ায় ময়দা রয়েছে। কারও অভিযোগ, শিঙাড়া ডুবো তেলে ভাজা। আবার কারও মনে হতে পারে, শিঙাড়ায় ময়দা, আলু মিলিয়ে শর্করার ছড়াছড়ি। খেলে ওজন বাড়বে নিশ্চিত। আর অম্বলের ভয়ে শিঙাড়া না খাওয়া মানুষও রয়েছেন অজস্র। এঁদের প্রত্যেকের সমস্যার সামাধান হতে পারে কাবলি ছোলা এবং পনিরের এক হাই প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর শিঙাড়ায়। যা খেলে ওজন বাড়ার ভয় নেই, ভয় নেই অম্বল বা বদহজমেরও।
কী কী দিয়ে তৈরি হবে ওই শিঙাড়া?
ওই শিঙাড়ার খোল বানানো হবে লাল আটা, মাল্টিগ্রেন আটা অথবা ওটসের আটা দিয়ে। পুরে থাকবে কাবলি ছোলা এবং ছানা বা পনির। মশলা হিসাবে দেওয়া হবে হজমে সহায়ক জিরে, জোয়ান, আদা। এ ছাড়া স্বাদবর্ধক হিসাবে কাঁচালঙ্কা, রসুন, পেঁয়াজ, ধনেগুঁড়ো, ক্যাপসিকাম, গোলমরিচ।
কী ভাবে বানাবেন?
১। একটি পাত্রে সেদ্ধ কাবলি ছোলা, ছানা বা চটকে মেখে নেওয়া পনির, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, লঙ্কা, ক্যাপসিকাম, জোয়ান, ভাজা জিরের গুঁড়ো, ধনেগুঁড়ো, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, গোলমরিচ মিশিয়ে ভাল করে মেখে নিন।
২। ওই মিশ্রণের উপরে লেবুর রস ছড়িয়ে দিয়ে আবার মাখুন।
৩। এ বার যে আটা ব্যবহার করছেন, তা দিয়ে পাতলা রুটি বানিয়ে তা অর্ধেক করে কেটে নিন। হাতে অর্ধেক রুটি নিয়ে চোঙার মতো করে মুড়ে তার মধ্যে পুর ভরুন। সামান্য জল দিয়ে মুখটা মুড়ে দিন। বা কাঠি দিয়েও আটকে দিতে পারেন।
৪। স্বাস্থ্যকর বানাতে হলে এর পরে এটি সামান্য ঘি ব্রাশ করে এয়ার ফ্রায়ারে রান্না করতে পারেন। অথবা প্যানে সামান্য ঘি গরম করে একটি করে শিঙাড়া এ পিঠ, ও পিঠ করে মিনিট দুয়েক ভেজে নিন।
৫। তবে মনে রাখতে হবে, এই শিঙাড়া দোকানের মতো ফোলা হবে না। হতে হবে চ্যাপ্টা। না হলে এয়ারফ্রায়ারে বা প্যানে ভাজতে অসুবিধা হবে।