গরমে ঘাম হয়, তেষ্টা বেশি পায়। কিন্তু শীতে তেষ্টা তেমন পায় না বলে জল খাওয়া কম হয়। সঙ্গে বাড়ে চা, কফি খাওয়ার প্রবণতা। ফলস্বরূপ শরীরে বাড়ে জলশূন্যতা, যা ক্রমশ অন্য অসুখের দিকে ঠেলে দেয়। পুষ্টিবিদ অনন্যা ভৌমিক বলছেন, “শীতে কিন্তু ডিহাইড্রেশন বেশি হয়। তাই এ সময়ে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সারা দিনে জলসমৃদ্ধ অন্যান্য খাবার, কিছু নির্দিষ্ট ফল ও সবজিও রাখা যায়।”
কী খাবেন?
- কমলালেবু, আপেল, আঙুর, স্ট্রবেরি ইত্যাদি রসালো ফল খেতে পারেন।
- পালং শাক, টোম্যাটো, গাজর, বিট ইত্যাদি সবজি খাওয়া যায়।
- ছাতুর শরবত বা ঘোল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। দইয়ে প্রোবায়োটিক থাকে, যা পেটের জন্যও ভাল।
- যে কোনও ফল বা সবজি দিয়ে বানানো স্মুদিতে পুদিনা পাতা দিলে পেট ঠান্ডা হবে, জলের চাহিদা মিটবে।
- শীতে গরম খাবার খাওয়ার প্রবণতা থাকে। তাই এ সময়ে সুপ বা স্টু খেতে পারেন। এতে শরীরে জল ও নুনের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
- অতিরিক্ত চা, কফি জলশূন্যতা বাড়িয়ে দেয়। তবে নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে চা, কফি খাওয়াই যায়। অনন্যা বলছেন, “বারবার চায়ের বদলে গ্রিন বা হার্বাল টি খেতে পারেন। সারা দিনে ৩০০ এমএল কফি খাওয়া যেতে পারে। তবে সন্ধের পরে কফি খাওয়া কমাতে হবে। অ্যালকোহল, নরম পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।”
কিডনি বা অন্য কোনও রোগ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বাকিদের জল খাওয়ার কথা নিজেকেই মনে করতে হবে। প্রয়োজনে স্মার্ট বোতল বা ওয়াটার অ্যালার্মের মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)