কী ভাবে খাবেন ত্রিফলা? —ফাইল চিত্র।
শীত পড়তে না পড়তেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা শুরু হয়েছে। তাই নিয়ম করে রোজ রাতে ত্রিফলা চূর্ণ খাচ্ছেন। আয়ুর্বেদেও ত্রিফলার গুরুত্ব অনেক। বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি ঠেকিয়ে রাখতে ত্রিফলা খাওয়ার চল নতুন নয়। আমলকি, হরিতকি এবং বহেরা— এই তিন ফল শুকিয়ে গুঁড়ো করে একসঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা হয় ত্রিফলা। গ্যাস, অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের নানা সমস্যা থেকে রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ— সবেতেই কাজ করে ত্রিফলা।
আমলকি ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। এই ফল পেটের সমস্যা দূর করে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন জাতীয় পদার্থ বার করে দিতেও আমলকি বেশ উপকারী। তা ছাড়া, রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতেও আমলকির জবাব নেই। হরিতকিতেও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এর ব্যবহার করা যেতেই পারে। অন্য দিকে, বহেরা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, পেশির জোর বাড়াতে আর হাড় মজবুত করতেও বহেরা বেশ উপকারী। তবে এত উপকার থাকা সত্ত্বেও অনেকেই বলেন এই মিশ্রণ বেশি খাওয়া ভাল নয়। কারণ, এই মিশ্রণে প্রাকৃতিক ভাবে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা পরিমাণে বেশি খেলে পেটের গোলমাল হতে পারে। ডায়েরিয়ার সমস্যা হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যপান করান এমন মহিলারা ত্রিফলা খেলে তাঁদেরও শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই বলে কি ত্রিফলা খাবেন না?
ভেষজ এই মিশ্রণের অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই প্রয়োজনে তা খেতে হবে। কিন্তু পরিমিত পরিমাণে। সকালে একেবারে খালি পেটে বা রাতে খাওয়ার পর ত্রিফলা না খেয়ে দু’টি খাবারের মাঝে কোনও একটি সময়ে খাওয়া যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy