এই ন্যাজাল ফিল্টারটি শুধুমাত্র নাকের ছিদ্র দু’টি ঢেকে রাখবে। ছবি: সংগৃহীত
করোনাকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের তালিকায় সবার উপরে জায়গা পেয়েছে বিভিন্ন ধরনের মাস্ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু করোনা ভাইরাসই নয়, প্রবল বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতেও উন্নত মানের মাস্কের প্রয়োজন।
অনেকেই মাস্ক পরলে সেটি নেমে যায় নাকের নীচে। কেউ কেউ আবার মাস্ক না পরেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। কারও দাবি, মাস্ক পরলে চশমা পরতে অসুবিধা হয়, কেউ বা আবার বলেন, মাস্ক পরে কথা বলতে বা হাঁটতে সমস্যা হয়। এই সব সমস্যা কী ভাবে এড়ানো যায়, তা নিয়েই গবেষণা করছিলেন বিজ্ঞানীরা। এ বার দিল্লি আইআইটি-র সাহায্যপ্রাপ্ত ‘ন্যানোক্লিন গ্লোবাল’ নামক একটি স্টার্টআপ সংস্থা তৈরি করেছে এমন একটি প্রযুক্তি, যা আকারে অনেক ছোট হলেও গুণে এন-৯৫ মাস্কের সমতুল। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ন্যাজো-৯৫’।
সংস্থার দাবি, শুধু ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া নয়, এর সাহায্যে বায়ুদূষণের প্রকোপ থেকেও বাঁচা যাবে। সংস্থার দাবি, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গবেষণাগারে পরীক্ষিত হয়েছে তাদের এই নয়া আবিষ্কার।
এই ন্যাজাল ফিল্টারটি শুধুমাত্র নাকের ছিদ্র দু’টি ঢেকে রাখবে। বিভিন্ন বয়সি লোকেদের কথা ভেবে বিভিন্ন মাপে তৈরি করা হয়েছে ন্যাজো-৯৫। এটি একটি আঠার মতো জিনিস, সেটি খুলে নাকের ছিদ্রের জায়গায় বসিয়ে চেপে দিলেই আটকে যাবে।
নিজেদের ওয়েবসাইটে সংস্থার দাবি, বাতাসের দূষিত ধূলিকণা আটকে দেবে তাদের এই প্রযুক্তি। ফিল্টারটি সাদা রঙের হওয়ায়, বেশি নজরেও পড়বে না। তবে একটি ন্যাজাল ফিল্টার এক বারই ব্যবহার করা যাবে, তার বেশি নয়।
সংস্থার দাবি, তাদের তৈরি এই ফিল্টারটি পরিবেশ-বান্ধবও বটে। প্রস্তুতে ন্যানোটেকনোলজি ব্যবহার হওয়ায় এই জিনিসটি পরলে শ্বাসজনিত কোনও সমস্যা হবে না বলে দাবি সংস্থার।
সংস্থার দাবি, ভারতের একাধিক শহরে ধোঁয়াশার সমস্যা রয়েছে। এই ফিল্টারটি পরলে ধোঁয়াশাজনিত ক্ষতি হবে অনেক কম। অনেকের ফুলের রেণুতে অ্যালার্জি থাকে। এই ফিল্টার পরা থাকলে সেই মিটবে সমস্যাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy