বিশ্বকাপে তিনি মোট ২৯২ রান করেছেন। শুরুতে ভাল না খেললেও নিউ জ়িল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রান করেছেন। বিশেষ করে সেমিফাইনালে জেমাইমা রদ্রিগেজ়ের ১২৭ রানে ভর করে জিতেছে ভারত। শুধু ক্রিকেটই নয়, মহারাষ্ট্রের অনূর্ধ্ব-১৭ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ রাজ্য দলে হকিও খেলেছেন জেমাইমা। বিশ্বকাপ চলাকালীন খেলার মাঠে জেমাইমার চার, ছয় মারার কায়দার পাশাপাশি ফিটনেসও নজর কেড়েছে অনুরাগীদের।
ইনস্টাগ্রামের একটি পোস্টে জেমাইমা কিন্তু নিজেই নিজের ফিটনেসের রহস্য ফাঁস করেছেন। ভিডিয়োয় তিনি বলেছেন, ‘‘ঘাম ঝরানো ট্রেনিং সেশন কিংবা সকালে জিম সেরে আমি একটি বিশেষ পানীয় খাই। আমার ফিটনেসের রহস্য লুকিয়ে সেখানেই।’’
সবুজ শাকসব্জি খেতে মোটেই ভালবাসেন না জেমাইমা। ক্রিকেটারের মতে, রোজ রোজ শাকসব্জি খেতে বড্ড একঘেয়ে লাগে। তাই শাকসব্জি খাওয়ার দারুণ উপায় বার করেছেন তিনি। ফল আর শাকসব্জির মিশেলে একটি সবুজ রঙের পানীয় বানিয়ে খান তিনি।
জেমাইমার গোপন পানীয়ের উপকরণ
১টি সবুজ আপেল বা নাসপাতি
১টি শসা
১ কাপ লাউ
১ কাপ পালংশাক
সব উপকরণগুলি একসঙ্গে বেটে রস বার করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে জেমাইমা ‘স্পেশাল’ জুস। ক্রিকেটার বলেন, ‘‘সবুজ শাকসব্জির পুষ্টিগুণ এক গ্লাসের এই রসের মধ্যেই পেয়ে যাই আমি।’’
ফল আর শাকসব্জির মিশেলে একটি সবুজ রঙের পানীয় বানিয়ে খান জেমাইমা। ছবি: সংগৃহীত।
শাকপাতা, টাটকা সব্জি, সবুজরঙা ফল দিয়ে তৈরি এই পানীয় যে নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজে ভরপুর, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তা সত্ত্বেও এই পানীয়টি রোজ খাওয়া ভাল নয়। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বেঙ্গালুরুর পুষ্টিবিদ শালিনী সুধাকর। শালিনী বলেন, “পানীয়টি কী ভাবে তৈরি করা হচ্ছে, তার উপরে নির্ভর করে তার পুষ্টিগুণ। কেউ যদি এই রস তৈরি করার সময়ে একেবারে কাঁচা শাকপাতা ব্যবহার করেন, তা হলে শরীরে তার ফল উল্টো হতে পারে। কারণ, টাটকা শাকপাতায় প্রয়োজনীয় খনিজের পাশাপাশি অক্সালেটের মতো ‘অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টস’ বা পুষ্টি শোষণে বাধা দানকারী খনিজ থাকে। যেগুলি লিভার এবং অন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।”
অনেকেই মনে করেন, শাকপাতা রান্না করলে তার পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। সে যুক্তি একেবারে ভ্রান্ত নয়। তবে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় এবং যথাযথ উপকরণ দিয়ে রাঁধলে বরং শাকের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়। তবে রস করার সময়ে শাকপাতা পুরোপুরি সেদ্ধ না করে নুন জলে হালকা ভাপিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
ভাল হলেও সপ্তাহে প্রতি দিন এই পানীয় খাওয়া যায় না। শালিনীর মতে, সপ্তাহে তিন দিন গ্রিন জুস খাওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে পুষ্টি শোষণে যেমন সুবিধা হবে, তেমন ক্ষতিকর খনিজগুলিও শরীরে জমতে পারবে না।