আইপিএলে এ বছর তাঁর পারফরম্যান্সে ভক্তেরা মুগ্ধ। রবিবারই একখানা চোখধাঁধানো সেঞ্চুরি করেছেন কেএল রাহুল। ৬৫ বলে অপরাজিত ১১২ রান! বিপক্ষের বলকে ১৪ বার বাউন্ডারিতে পাঠিয়েছেন, আর ৬ বার মেরেছেন ওভারবাউন্ডারি। এমন পারফরম্যান্সের জন্য একাগ্রতা দরকার তো বটেই, প্রয়োজন ফিটনেসেরও। নিজেকে ফিট রাখতে কি কোনও নিয়ম মেনে চলেন ভারতীয় ব্যটার? এক সাক্ষাৎকারে সে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন রাহুল। তিনি বলছেন, “আমার কাছে প্রাতরাশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর আমার প্রাতরাশের খাবার খুব ভেবেচিন্তে সাজানো। গত তিন-চার বছর ধরে আমি সেই তালিকা মেনেই নিয়মিত সকালের খাবার খেয়ে থাকি। কখনওই সে নিয়ম ভাঙি না।”
—ফাইল চিত্র।
কী খাবার থাকে প্রাতরাশে?
রাহুল জানাচ্ছেন তাঁর সকাল শুরু হয় প্রোটিন এবং ভিটামিনে ভরপুর নানা রকমের খাবার দিয়ে। রাহুলের কথায়, “সকালে প্রথমেই আমি খাই চারটে সেদ্ধ করা ডিম। যথেষ্ট পরিমাণে গোলমরিচ- নুন ছড়িয়ে।” এর পরে দু’রকম ফল আর প্রোটিন শেকও খান রাহুল। তিনি বলছেন, “ ডিম ছাড়া থাকে আভোকাডো, এক গ্লাস প্রোটিন শেক আর টুকরো করে কাটা যে কোনও একটা ফল।”
জাতীয় দলের ক্রিকেট খেলোয়াড় রাহুল। দিনের অনেকটা সময় তাঁর কাটে প্র্যাকটিস এবং শরীরচর্চায়। কারণ, আমজনতার কাছে তাঁরা মনোরঞ্জনের জোগানদার হলেও তাঁদের টিকে থাকার লড়াই সহজ নয়।পারফরম্যান্সই সেই লড়াইয়ের শেষ কথা। তার জন্য পরিশ্রম দরকার, আর দরকার জীবনযাপন ও খাওয়াদাওয়ার শৃঙ্খলা। যা শেখার মতো।
ছবি: শাটারস্টক।
রাহুলের প্রাতরাশের মেনু কি আপনিও অনুসরণ করতে পারেন?
রাহুলের প্রাতরাশে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন এবং জরুরি খনিজের ভারসাম্য।
ডিম: ডিমকে বলা হয় সম্পূর্ণ প্রোটিন। এতে ৯ রকমের অ্যামিনো অ্যাসিডের অনেকগুলিই থাকে। তার সঙ্গে থাকে ভিটামিন বি১২।
ফল: ফলে নানা রকমের ভিটামিন তো থাকেই, এ ছাড়াও থাকে জরুরি খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস, যা ক্যানসারের মতো রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে। এ ছাড়া নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্তচাপ। নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরলও।
অ্যাভোক্যাডো: অ্যাভোক্যাডোতে আছে স্বাস্থ্যকর স্নেহপদার্থ। যা হার্টের জন্য ভাল।
প্রোটিন শেক: প্রোটিন শেকে থাকে হোয়ে, সয় এবং ক্যাসিন প্রোটিন, যাতে ৯ রকম অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। এটি পেশিকে সুগঠিত করার পাশাপাশি শরীরে ফ্যাট কমাতেও সাহায্য করে।