Advertisement
E-Paper

পুজোর সময় থাকে উপোসও, পুষ্টির ঘাটতি মিটিয়ে সুস্থ থাকার উপায় বললেন করিনার পুষ্টিবিদ রুজুতা

পুজো-পার্বণের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে ব্রত পালনের নানা রকম রীতিনীতি। উপোসের সময় কোন খাবার খেলে শরীর দুর্বল হবে না, পরামর্শ দিলেন করিনা কপূরের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকর।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:১৬
পুষ্টিবিদ রুজুতা  দিবেকর কোন খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন?

পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকর কোন খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন? ছবি: সংগৃহীত।

উৎসব পার্বণের সঙ্গে যেমন ভূরিভোজের সম্পর্ক, তেমন থাকে নানা রকম ব্রতও। অনেকেই যেমন ষষ্ঠী, অষ্টমীতে উপোস করেন, আবার অনেক বাঙালিই দেবীপক্ষ শুরুর পরের দিন থেকে শারদ নবরাত্রি পালন করছেন। ব্রত পালনের নানা রকম নিয়ম। নির্জলা উপোস যেমন কেউ কেউ করেন, তেমনই ফলাহারও করা যায় কোনও কোনও ব্রতে।

পুজো-অনুষ্ঠানের সময় উপোস করতে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়লে বা দুর্বল হয়ে পড়লে আনন্দটাই মাটি হতে পারে। তাই নিয়মকানুনের মধ্যে থেকেও কোন খাবার বেছে নিলে সুস্থ থাকা যাবে, পরামর্শ দিলেন মুম্বইয়ে তারকাদের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবেকর।

অবাঙালি হোন বা বাঙালি— উপোসে সাধারণত ফলাহারে বিধিনিষেধ থাকে না। রুজুতা বলছেন এমনই চার খাবারের কথা।

রাজগিরা: কেউ বলেন রাজগিরা, কেউ বলেন অমরনাথ। এটিও সুপার ফুড বলে পরিচিত। দেখতে পোস্তর দানার মতো। প্রোটিন, ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন খনিজে ভরপুর অমরনাথ গ্লুটেন ফ্রি খাবারের তালিকায় পড়ে। সাধারণত উপোসের সময় অমরনাথ বা রাজগিরা খান লোকজন। রুজুতা জানাচ্ছেন, রাজগিরায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে, শরীরে শক্তি জোগাতে আয়রন খুব জরুরি। খনিজটির অভাব ঘটলে শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে, ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। উপোসের সময় খাওয়ার জন্য রাজগিরার লাড্ডু বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। বীজটি ভিজিয়ে ফলে ছড়িয়েও খেতে পারেন।

কাজু: কাজু বেছে নেওয়ার কারণ হিসাবে রুজুতা জানাচ্ছেন, বাদামটি ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর। দিনভর খাটাখাটানি, উপোসের পরে শুতে গেলে অনেকেরই পায়ে ব্যথা হয়, ক্লান্ত লাগে। ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ুকে শিথিল করতে সাহায্য করে। সেই কারণেই বেশ কয়েকটি কাজু প্রতি দিন খাওয়া দরকার, বিশেষত উপোস করলে।এই খনিজ পেশি সঙ্কোচন, স্নায়ু সঙ্কেত পরিবহণ এবং স্বাভাবিক হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে ম্যাগনেসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কলা: নবরাত্রির উপোসে কলা খেতে বলছেন রুজুতা। কারণ, পটাশিয়ামে পূর্ণ কলা ক্যালোরির অভাব পূর্ণ করবে। এতে মেলে ভিটামিন বি৬, যা মেজাজ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তা ছাড়া, ঋতুস্রাবের সময় অনেকের স্তনে ব্যথা হয়, রুজুতা বলছেন, ভিটামিন বি৬ এই সমস্যারও সমাধান হতে পারে। পেট পরিষ্কার রাখতে, হজমেও কলা সহায়ক।

অঙ্কুরিত স্যালাড: ছোলা, বাদাম, রাজমা, মুগ— এই ধরনের বীজগুলি জলে ভিজিয়ে রেখে অঙ্কুরিত করে স্যালাড হিসাবে খেলে ভাল, জানিয়েছেন রুজুতা। কারণ, এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। উপোসের সময় স্বল্পহারে যাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব না হয়, সে জন্য তা খাওয়ার পরামর্শ পুষ্টিবিদের। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখার পাশাপাশি হাড় মজবুত রাখতেও অঙ্কুরিত স্যালাড ভাল।

Rujuta Diwekar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy