শরীরের ছাঁকনির কাজ করে কিডনি, দূষিত পদার্থ বার করে দেয় প্রস্রাবের মাধ্যমে। আর তা বিগড়ে গেলেই বিপদ। সময়ে কিডনির অসুখের চিকিৎসা না হলে, মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু মুশকিল হল, বহু ক্ষেত্রেই চট করে ধরা যায় না সমস্যা হচ্ছে কিডনি থেকে। রোগী নিজেও বুঝতে পারেন না। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যখন তা ধরা পড়ে তত ক্ষণে হয়তো ক্ষতি হয়ে গিয়েছে অনেকটা।
কিডনির স্বাস্থ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে কাজ করা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সোস্যাইটি অফ নেফ্রোলজি থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, বিশ্বে ৮৫ কোটি মানুষ কিডনি সংক্রান্ত অসুখের শিকার। তার মধ্যে ক্রনিক কিডনির অসুখে ভুগছে ১০.৪ শতাংশ পুরুষ এবং ১১.৮ শতাংশ মহিলা।
আরও পড়ুন:
তবে কিডনির সমস্যা বা অসুখ যদি শুরুতেই ধরা পড়ে তা হলে চিকিৎসায় তা সেরে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে বেশি। বেঙ্গালুরুর কিডনির রোগের চিকিৎসক নিশ্চয় বি একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কী ভাবে কিডনি ভাল রাখা যায়, কোন সতর্কতা জরুরি। তাঁর কথায়, সমস্যা হল কিডনির কর্মক্ষমতা যত ক্ষণ না যথেষ্ট কমে যাচ্ছে তত ক্ষণ তার লক্ষণ সে ভাবে বোঝা যায় না। রক্ত বা মূত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বোঝা যায় কিডনির সমস্যা রয়েছে কি না। কিন্তু লক্ষণ বা উপসর্গ না থাকলে, কেউ আগ বাড়িয়ে পরীক্ষার কথা ভাবেন না। অথচ কিডনি শুধু শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করতে সাহায্য করে না। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ইলক্ট্রোলাইট ভারসাম্য রক্ষা, হরমোন নিঃসরণেও এর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
তবে খুব সাধারণ বিষয়ও হতে পারে কিডনির সমস্যার উপসর্গ
· পরিশ্রম ছাড়াও ক্লান্তিবোধ
· ওজম কমা এবং খিদে কমে যাওয়া
· চোখের চারপাশে, পায়ে ফোলা ভাব
· শুষ্ক ত্বক
· মূত্রের বর্ণ এবং গন্ধ বদল
· প্রস্রাবে রক্তের উপস্থিতি
· শ্বাসের কষ্ট
· ঘুমের সমস্যা
চিকিৎসকের কথায়, ‘‘কিডনির অসুখে সুনির্দিষ্ট উপসর্গ শুরুতেই বোঝা যায় না। তাই সাধারণ লক্ষণগুলিও এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।’’