সন্তানধারণে সমস্যা হচ্ছে, বিষয়টি প্রথম বছর দুয়েক তেমন প্রভাব না ফেললেও পরবর্তী কালে মনের মধ্যে নিজেকে নিয়েই নানা রকম প্রশ্ন তুলে ধরে। ছবি: সংগৃহীত।
পেশাগত কারণে আজকাল অনেকেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন অনেক দেরিতে। তার পর খানিকটা পরিবারের চাপে পড়েই অনেক দম্পতিকে সন্তানের কথা ভাবতে হয়। কিন্তু বয়সকালে বিয়ে এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে সন্তানধারণে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সন্তানধারণে সমস্যার বিষয়টি প্রথম বছর দুয়েক তেমন প্রভাব না ফেললেও পরবর্তী কালে মনের মধ্যে নিজেকে নিয়েই নানা রকম প্রশ্ন তুলে ধরে। সন্তানধারণ করতে হবে বলেই সঙ্গমে মনও সায় দিচ্ছে না। সমানে খুঁজে বেড়াচ্ছেন সমস্যার উৎস। মাসের কোন সময়টা সন্তানধারণের জন্য অনুকূল, ক্যালেন্ডার খুঁজে হিসাব করে রাখছেন। কিন্তু এত কিছু করেও কী লাভ হচ্ছে?
চিকিৎসকেরা বলছেন, সন্তানধারণ করতে পারছেন না কেন, এই চিন্তা নিয়ে সঙ্গম করলে পরিস্থিতি আরও হাতের বাইরে চলে যায়। মানসিক চাপ তো থাকেই। তাই সঙ্গম সুখের হয় না। তার উপর যদি পারিপার্শ্বিক চাপ থাকে, তা হলে তো কথাই নেই।
সন্তানধারণের সমস্যা বা বন্ধ্যত্ব কী ভাবে যৌনজীবনে প্রভাব ফেলে?
১) উপভোগ করার কিছু থাকে না
দু’জনের মধ্যে বোঝাপড়া থাকা প্রয়োজন। যদি তার অভাব থাকে, তা হলে যৌনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সন্তানের জন্ম দিতে হবে বলে যৌনতায় অংশ নেওয়া আর অন্য দিকে শরীরী উদ্যাপনের জন্য সঙ্গম করা, দু’টির চরিত্র অবশ্যই ভিন্ন।
২) বন্ধ্যত্ব পুরুষদের মনেও প্রভাব ফেলে
সন্তানের জন্ম দিতে না পারা পুরুষদের মনেও যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তানধারণ করতে না পারলে মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদের মনেও শুক্রাণুর পরিমাণ নিয়ে চিন্তা শুরু হয়। ফলে যৌন উত্তেজনা বা সুখ, কোনওটাই উপভোগ করতে পারেন না তাঁরা।
৩) মহিলারা হীনম্মন্যতায় ভোগেন
স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তানধারণ করতে না পারলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হয়। সেই পদ্ধতি যেমন খরচসাপেক্ষ, তেমন জটিলও। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় মেয়েদের। তাই সন্তানধারণ নিয়ে মনের মধ্যে অজানা এক ভয় কাজ করতে থাকে। সেই ভয় থেকেও স্বাভাবিক যৌনজীবন ব্যাহত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy